বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কটিয়াদী উপজেলা শাখার উলামা বিভাগের উদ্যোগে ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর ২ টায় স্বপ্নকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো সিরাতুন্নবী (সাঃ) শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে ডঃ মুফতি আবুল কালাম আজাদ বাশার এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, "চাঁদাবাজ, চুরি, ছিনতাই, ধর্ষন,সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের কোনো বিকল্প নেই। বিগত স্বৈরাচার সরকার ইসলামপন্থীদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারপরও কোনো কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী এক মুহুর্তের জন্য থেমে থাকেনি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়বে।" তিনি রাসুলের আদর্শিক রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতকে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম নুরীর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক, পাকুন্দিয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজিজুল হক, কটিয়াদী উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোজাম্মেল হক জোয়ারদার, কিশোরগঞ্জ-০২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) সংসদীয় আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল, জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খালেদ, ফেকামারা কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কাশেম বিপ্লব, এবং উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুল হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জামায়েত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মাওলানা শফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, কল্যাণমুখী সমাজ, রাষ্ট্র গঠনে নির্বাচিত এলাকার উন্নয়নে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা ইসলামের আদর্শ ও ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা সরকারের উপর ইসলামপন্থীদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাটি স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অংশগ্রহণকারীরা ইসলামের আদর্শের প্রতি তাদের প্রতি সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ জাতীয় সীরাত বিষয়ক আলোচনা সভাগুলোতে ইসলামী আদর্শের প্রচার ও প্রসার ঘটছে বলে জানানো হয়। এটি ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সমাজের ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলার উলামা বিভাগের নেতৃবৃন্দ।
এই ধরনের উদ্যোগ কটিয়াদীতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের উন্নয়ন এবং সম্প্রদায়গত বন্ধনকে মজবুত করতে সহায়ক হবে, এমনটাই মনে করছেন অনেকেই । ভবিষ্যতে এ ধরণের আরও সভার আয়োজনের মাধ্যমে ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।