জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক রাজিন সালেহর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তালাক দেওয়ার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসি।

বিষয়টিকে মিথ্যা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চক্রান্ত দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজিন সালেহ। 

তিনি বলেছেন, শহীদদের রক্তের উপর গড়ে ওঠা তার দল এনসিপি’কে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

 বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজারে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে রাজিন সালেহ জানান, স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসি নিয়ন্ত্রণহীন জীবনাচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় তিনি গত ২৭শে জুন তাকে তালাকনামা পাঠান। এর আরো বেশ আগে থেকেই তারা সেপারেশনে ছিলেন। গত ২৯শে জুন তাকে প্রধান সমন্বয়ক করে পাকুন্দিয়া উপজেলা এনসিপি’র কমিটি গঠন করা হয়। এরপর থেকেই এনসিপি’কে পাকুন্দিয়ায় হুমকি মনে করে রাজনৈতিক একটি চক্র হীন চক্রান্তে মেতে ওঠে। তারা নানাভাবে প্ররোচিত করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করিয়ে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসিকে দিয়ে বৃহস্পতিবার একটি সংবাদ সম্মেলন করায়। রাজিন সালেহ বলেন, মূলত আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এবং সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে আমার সাবেক স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনসহ নানা মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। সুমাইয়া আক্তার হাসির সাথে ২০২০ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি আমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর থেকে পারিবারিক অশান্তি ও কলহ সৃষ্টি হয়।  আমার স্ত্রী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ শুরু করেন ও অসামাজিকভাবে চলাফেরা করেন। আমি তাকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন ও আমাকে হুমকি দেন। এসব বিষয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা করে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। অবশেষে কোনো সমাধানের পথ না পেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেই এবং গত ২৭শে জুন তাকে তালাকনামা পাঠাই। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। এ রকম পরিস্থিতিতে আমার একমাত্র শিশুসন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে সন্তানকে আমার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসি। এখন আমার সন্তানের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আমি সেটি মনে নিবো। রাজিন সালেহ বলেন, আমাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা এনসিপি’র প্রধান সমন্বয়ক করার পর রাজনৈতিক একটি চক্র এনসিপি’কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে মিথ্যা অভিযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি এই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড ও মিথ্যা প্রচারণা সম্পর্কে সচেতন থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।