নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার মোঃ বছির উদ্দিন (৬৮) আজ এক ভয়াবহ দুঃসময়ের মুখোমুখি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ বৃদ্ধ মানুষটির জীবনের একমাত্র অবলম্বন তাঁর ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলাম (২১)। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী জাহিদুল বর্তমানে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনের সাথে লড়াই করছে।

সম্প্রতি তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেওয়া হলে চিকিৎসক ডা. মোঃ মাহামুদুর হাসান ও ডা. মোঃ নাজমুল করিম কয়েকটি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। চিকিৎসকরা জানান, যথাযথ পরীক্ষা ও সঠিক চিকিৎসা না হলে জাহিদুলের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আর্থিক সংকটে জর্জরিত পরিবারটির পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

অসহায় পিতা বছির উদ্দিন নিজেই বয়সের ভারে কাহিল হয়ে পড়েছেন। তবুও ছেলের জীবন বাঁচাতে তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও অফিসের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন, সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনো কোনো সহযোগিতা মেলেনি। অন্যদিকে মা মোছাঃ জাহেদা বেগম দুশ্চিন্তায় প্রায় পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন। একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তাদের দিন কাটছে অশ্রু-ব্যথায় ভরা অন্ধকারে।

এমন পরিস্থিতিতে অসহায় এই পরিবারটি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী সংগঠন ও সকল মানবপ্রেমীদের প্রতি হাত বাড়িয়ে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, দয়া ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত হলে হয়তো জাহিদুল নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।

একজন প্রতিবন্ধী যুবকের জীবন বাঁচাতে এবং দুঃখক্লান্ত এই পরিবারটির মুখে হাসি ফুটাতে এখন প্রয়োজন সমাজের সম্মিলিত সহযোগিতা। মানবিক এ আহ্বানে সবাই সাড়া দেবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন জাহিদুলের অসহায় বাবা-মা।