বুধবার বিকেলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, মুরাদিয়া ইউপির( ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান অফিসের ভেতরে মাতৃত্বকালীন ভাতার বিষয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় গণঅধিকার নেতা মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক ওই কক্ষে প্রবেশ করে তাঁর ওপর চড়াও হয়। তারা ফোরকানকে এলোপাতাড়ি চড়, কিল ও ঘুষি মারতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে টেনে-হিঁচড়ে কক্ষের বাইরে বের করে আনে। সেখানেও তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে শুরু করলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মারধরের শিকার হাফিজুর রহমান ফোরকান অভিযোগ করেন, মোনায়েম মুন্না বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর কাছে দল পরিচালনার জন্য চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এই হামলা চালান। ফোরকান জানান, তিনি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছেন এবং এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
তবে মোনায়েম মুন্না চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি রাস্তার কাজ নিয়ে তাঁদের মধ্যে সামান্য তর্কবিতর্ক হয়েছিল। তিনি মারধরের অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, "এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।।