বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল আসাদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটকদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম বলেন, এখন তো এখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। আমরা নিয়ে যাচ্ছি। পরে সিনিয়র কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘মঞ্চ ৭১’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গণফোরামের সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেনের। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঞ্চ ৭১-এর অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পেয়ে ‘জুলাই যোদ্ধা’ ব্যানারে আল আমিন রাসেলের নেতৃত্বে কয়েকজন অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে ঘেরাও করেন। তারা লতিফ সিদ্দিকী ও উপস্থিত অন্যদের অনুষ্ঠানস্থলে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি একজন অংশগ্রহণকারী। দল-মত নির্বিশেষে সব মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি এসেছি। আমরা অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম। লতিফ সিদ্দিকী সাহেব এসেছেন। কামাল হোসেন সাহেব আসেননি। এমন সময় ২০-২৫ জন যুবক এসে হট্টগোল সৃষ্টি করে। তারা আমাদের ঘিরে ফেলে। তবে তারা কারও গায়ে হাত দেয়নি।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে এডিসি হাফিজ আল আসাদের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের রমনা জোনের এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে লতিফ সিদ্দিকীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গত ৫ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্ল্যাটফর্মটির আত্মপ্রকাশের কথা জানানো হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ মঞ্চ গঠিত হয়েছে। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বীর প্রতীক) ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এ প্ল্যাটফর্মের সমন্বয় করছেন।