ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে চলমান প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন তারা।


ঢাকায় প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রকৌশলীরা ন্যায্য দাবি তুললেও তাদের দমন করার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা এই দমন-পীড়নের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

তারা আরো বলেন, “প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এ ধরনের দমননীতি কোনভাবেই কাম্য নয়। শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে এ ধরনের আক্রমণ গভীর উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসিই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা উল্লিখিত ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশের ন্যাক্কারজনক দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ানরা যদি ইঞ্জিনিয়ার দাবি করে, তাহলে প্রকৃত মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারদের অপমানিত করা হয়।”

মানববন্ধনে সাথে একাত্বতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, “টেকনিশিয়ানদের ইঞ্জিনিয়ার তকমা দেওয়া উচিত হবে না। যদি তারা ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, তবে ডিপ্লোমা শেষ করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (ডুয়েট)-এ পড়াশোনা শেষে ইঞ্জিনিয়ার হোক। সর্বশেষ আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো—আপনারা আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করুন।”

মানববন্ধনে ইসিই ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, “বিগত দিনের ঘটনাগুলো দেখে মনে হচ্ছে আমরা টেকনিশিয়ান এবং ইঞ্জিনিয়ার—এই পার্থক্যটা বুঝি না। আমাদের বোঝা উচিত, টেকনিশিয়ানদের কাজ এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ ভিন্ন। সুতরাং যার যেটা কাজ, তাকে সেটা করতে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীদের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে নিয়োগে কোটাসংক্রান্ত বৈষম্য দূর করা জরুরি।”