অতিরিক্ত এই দুই টাকা সরকারি কোনো কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে কর্মরত একজন নারী কর্মচারী জানায় বাড়তি টাকা সরকারি কোনো কোষাগারে জমা হচ্ছে না । এসব টাকা কোথায় যাচ্ছে প্রশ্ন করা হলে নারী কর্মকর্তা জানায় বাড়তি দুই টাকা সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আনার কাছে যাচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীদের থেকে ৩ টাকার টিকেট ৫ টাকা রাখা হয়। আউটডোরে অতিরিক্ত টিকেট ফি আদায়ে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বছরে আইন বহির্ভূত আয় করে প্রায় ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।

হাসপাতাল সূত্র বলছে প্রতিদিন গড় ৫৫০ থেকে ৬০০ জন রোগী দেখেন ডাক্তাররা।  সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ নভেম্বর ২০২০ সালে যোগদান করেন । অভিযোগ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকেই চলছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করে অনুসন্ধানী দল।  হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার রোগীরা জানায় টিকেট কাউন্টারে সিরিয়ালের মাধ্যমে ৫ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছি।  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কেউ কেউ আবার বলছে ভাংতি টাকা না থাকায় ১০ টাকা রেখে দিয়েছে।

অতিরিক্ত এই দুই টাকা সরকারি কোনো কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে  টিকিট কাউন্টারে কর্মরত একজন নারী কর্মচারী জানায় বাড়তি টাকা সরকারি কোনো কোষাগারে জমা হচ্ছে না ।  এসব টাকা কোথায় যাচ্ছে প্রশ্ন করা হলে নারী কর্মকর্তা জানায় বাড়তি দুই টাকা সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আনার কাছে যাচ্ছে।  

এসব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন প্রথম কথা হচ্ছে ৫ টাকা নেওয়া হয় না। আমি আপনাকে ক্লিয়ার করি এ বিষয়ে এর আগেও একবার এ ধরনের কথা এসেছিল এবং এটা আসার পরে কিন্তু আমি সংশ্লিষ্ট যে টিকেট কার্ড নিতো তাকে ডেকে এ বিষয়ে তাকে এই কাজ থেকে বিরত রেখেছিলাম তারপরে যেহেতু চাকরি তার কাজ সে করবে এবং সে কাজ করছে আপনি দেখবেন আউটডোরে বলাই আছে।