এক দশকে পা রেখেছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন। সময়ের ব্যবধানে এ শহরে মানুষের বসবাস বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভাগীয় শহর হওয়ায় প্রতিনিয়ত বিভাগের ৭ জেলারসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও নানা মানুষ এখানে আসে জীবিকা নির্বাহ, শিক্ষা গ্রহণ ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণসহ নানা কারণে।

ফলে নগরীতে বাড়ছে অপরিকল্পিতভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ। অপ্রশস্ত থেকে যাচ্ছে প্রধান সড়কসহ পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোও। বাড়ছে ভোগান্তিসহ নানা ঝামেলা। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, বিভাগীয় শহর ও সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পরেও পরিকল্পিত নগর গড়ার কোনো পরিকল্পনাই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে একটি আধুনিক নগরের প্রথম শর্তই হচ্ছে, পরিবেশবান্ধব পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থা ও বাস্তবায়ন। সরেজমিনে রংপুর নগরী ঘুরে দেখা যায়, নগরীর বিভিন্ন স্থানে এখনো সড়কেই রয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।

নালাগুলো দিয়ে ঠিকমতো হয় না পানি নিষ্কাশন। নিয়ম মেনে কিংবা জায়গা ছেড়ে নির্মাণ করা হয়নি অনেক ভবন। সড়কে বসছে হাট-বাজার, ফুটপাত দখলসহ নানা কারণে অগোছালো হয়ে আছে রংপুর। সাধারণ মানুষেরা বলেন, রংপুর হলো অপরিকল্পিত একটি শহর। নানা সমস্যা পোহাতে হয় আমাদের। রংপুর শহরকে ঢেলে না সাজানো হলে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। রংপুরের নানা দিক নিয়ে কথা হলে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রংপুর উন্নয়ন কতৃপক্ষ নিয়ে কাজ চলছে।

নিজেদের সামান্য লোকবল নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করছি এ নগরকে সুন্দর করার। যারা নির্দেশনা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করেনি তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এই অপরিকল্পিত নগরায়নের দায় নিতে চান না অনেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। তাদের মতে, সিটি কর্পোরেশন যেভাবে অনুমোদন দিয়েছে, সেভাবেই গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। আর নির্দেশনা অনুযায়ী করা হয়েছে প্রতিটি উন্নয়ন। কেউ কেউ সামনে নির্বাচন উপলক্ষে কথাও বলতে রাজি হননি