আওয়ামী লীগ সময়ের ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক কারবারি এখন যুবদলের নেতা। কমলনগর থানা পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে এ ব্যবসা করলেও ফেনী ডিবির হাতে দু'শ পিছ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন তিনি। তার নাম গোলাম সারোয়ার।তিনি কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের তাজল ইসলামের ছেলে।বর্তমানে তিনি চরকাদিরা ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক এবং ৩ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোস্তফা সারোয়ার বিগত ১০বছর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে আঁতাত করে চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজুমিয়ারহাটসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন থেকে এ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলে কমলনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মোস্তফা চট্টগ্রাম , ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক এনে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে গেছেন। পরে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ফেনীর মহিপাল থেকে দু'শ পিছ ইয়াবা বড়িসহ ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই মামলায় দীর্ঘদিন তিনি জেল হাজতে ছিলেন।৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আবার নতুন করে দৌড়-ঝাঁপ শুরু হয় মোস্তফার। তিনি এখন বিএনপির সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজানসহ উপজেলা বিএনপি, যুবদেলর বিভিন্ন নেতাদের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। এবং নিজকে যুবদলের বড় নেতা হিসেবে সর্বমহলে প্রচার করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চরকাদিরা ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আঁতাত করে মোস্তফা ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত থেকে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। এখন আবার যুবদলের নেতা হয়ে পূর্বের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পায়তারা করছেন।এ বিষয়ে মোস্তফা সারোয়ার বলেন, ফেনী এলাকায় আমি ব্রিক ফিল্ডের কাজ করিয়েছি। ওই এলাকার কাজ করতে গিয়ে একটি চক্রের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে কিছু দিন আমি ইয়াবার সেবনের সাথে জড়িত ছিলাম। পরে ওই চক্র আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়। আমি জেল থেকে মুক্ত হয়ে এখন আর এ গুলোর সাথে সম্পৃক্ত নেই।চরকাদিরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আকরাম হোসেন শাহেদ হাওলাদার বলেন, মোস্তফা সারোয়ার মাদক কারবারের সাথে জড়িত কিনা আমার জানা নেই। সে রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। এর আড়ালে তার কোন অপকর্ম থাকলে এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে।