বঙ্গোপসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা এখন ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ঝড়কে আরো শক্তিশালী করার পক্ষে অনুকূল।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ কোথায় আছড়ে পড়বে, মোচার সম্ভাব্য গতিপথ নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া, আলোচনা, জল্পনা চলছে। কিন্তু কোথায় আছড়ে পড়বে, কত গতিতে আছড়ে পড়বে, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। মোচার আছড়ে পড়ার সম্ভাব্য অঞ্চল বিশাল। তার গতিপথের মধ্যে ভারতের ওড়িশা থেকে মিয়ানমার রয়েছে। তার মাঝে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ। ফলে এই বিশাল অঞ্চলের কোথায় ‘মোচা’ তাণ্ডব চালাবে, এখন সে দিকেই নজর আবহবিদদের।

বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে সেটি ভারতের কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যদি সেই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ মিয়ানমারের দিকে এগোতে থাকে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় ঢুকতে খুব বেশি সময় নেবে না। ফলে আরো শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ পাবে ‘মোচা’। তবে যাত্রাপথ যদি দীর্ঘ হয়, সে ক্ষেত্রে এর শক্তি কিছুটা ক্ষয় হতে পারে। শুধু তাই-ই নয়, সমুদ্রের উপরিভাগের তাপমাত্রা যদি ঝড়ের শক্তিসঞ্চয়ের অনুকূল না হয়, তা হলে স্থলভাগে পৌঁছনোর আগেই ঝড়ের গতি কমে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরের উপরিতলের তাপমাত্রা এখন ৩০-৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ঝড়কে আরো শক্তিশালী করার পক্ষে অনুকূল।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ‘মোচা’ আছড়ে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশায়। আর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে চলেছে আগামী সপ্তাহেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা যেখানে আছড়ে পড়ুক, এর প্রভাব আরো বেশ কয়েকটি রাজ্যেও পড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, বঙ্গোপসাগরের একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে ৮ মে। তার পর সেটি ৯ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৯-১০ মের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যে নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হবে, তার প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৮-১১ মের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।