ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট এলাকায় আত্রাই নদীর বাঁধ ভাঙনের কারনে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
দ্রুত আত্রাই নদীর ভারতীয় অংশের বাঁধ নির্মাণ করা না হলে বাংলাদেশ অংশের ধামইরহাট উপজেলাধীন কয়েকটি গ্রাম প্লাবিল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বেশি আতঙ্কিত এলাকার কৃষকগণ কাঙ্ক্ষিত ফসলের ক্ষতিকর শঙ্কায় তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
জানা গেছে, চারমাস পূর্বেই বন্যা মোকাবেলায় কালুরঘাটের আত্রাই নদীতে ৩০ কোটি রূপি ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ও নিম্ন উচ্চতার বাঁধ।গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধটির অনেকাংশেই ভেঙে যায়।এরফলে নদী পারের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছেন।
এর আগেও গত ফেব্রুয়ারিতে পানির তোপে বাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশের বাসিন্দাদের মধ্যে কিন্তু মেরামত হওয়া অংশে ফের ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে বিপত্তি সৃষ্টি হয়।
বাঁধটি ভাঙার ফলে ভারতের বালুরঘাটের ডাঙ্গি, গুপিনগর এবং জলঘর বিএসএপ ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী খিদিরপুর, ভাতচালা মায়া-মারি,ফতাপুর সীমান্ত এলাকায় এবং বাংলাদেশ অংশের আত্রাই নদীর কোলঘেষা মনোহরপুর,রামচন্দ্রপুর, রসপুর, শিমকুতলী, জগন্নাথপুর, চৌঘাট, নন্দনপুর, বলরামপুর, সিলিমপুর, উদয়শ্রী, বেড়িতলা গ্রামসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
আত্রাই নদীর অববাহিকায় সীমান্তবর্তী অসংখ্য ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে করে স্হানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন স্হানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আত্রাই নদীর কূলে গড়ে উঠা বিজিবি ক্যাম্প হতে দেখা যায় আত্রাই নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
পানির স্রোতে বিভিন্ন ধরনের অগাছা ও কচুরিপানা ভেসে আসছে।এ বিষয়ে বেড়িতলার স্হানীয় কৃষক মো. শাকিল হোসেন জানান আমার এ বছর ২ বিঘা ১৩ শতাংশ জমিতে বোরো ধান রয়েছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমি ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবো।
তবে শুনেছি ভারতে বাঁধ ভেঙেছে এবং গত কয়েকদিনে নদীর বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চিতার মধ্যে আছি।