সারেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন বড় বড় গর্ত হয়ে খেলার অনুপযোগী হওয়ায় খেলাধুলা করতে পারছিল না। স্কুলের মাঠে গরু চরাতে দেয়া যায়। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে বারবার জানিয়ে মাঠ ভরাট এর জন্য কোন উদ্যোগ নেয়নি।

আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছেন ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।পনেরো বছর ধরে স্কুলের উন্নয়ন মূলক খাতে কোন বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষার্থীরা  নিজেদের  উদ্যোগে টিফিনের টাকা বাচিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের কাজে হাত দেয়।

সারেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি  দীর্ঘ দিন যাবত বিভিন্ন বড় বড় গর্ত হয়ে খেলার অনুপযোগী হওয়ায় খেলাধুলা করতে পারছিল না। স্কুলের মাঠে গরু চরাতে দেয়া যায়। বিষয়টি  স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে বারবার জানিয়ে মাঠ ভরাট এর জন্য কোন উদ্যোগ  নেয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক ছাএ বলেন্, আমরা স্কুলের বাথরুম ব্যবহার করলেও প্রধান শিক্ষক কে  টাকা দিতে হয় অথচ  মাঠে বিভিন্ন গর্ত হওয়ার ফলে খেলতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় দুর্ঘটনার  ঘটনা ঘটে তাতেও টনক নড়েনি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। পরে আমরা  সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং স্কুলের প্রাক্তন  শিক্ষার্থীরা মিলে টিফিনের টাকা  এবং অভিবাবকদের নিয়ে মাঠ ভরাটের কাজের উদ্যোগ নেই।এছাড়া এর আগেও শহীদ মিনার, রাস্তাসহ  স্কুলের অনেক কাজই শিক্ষার্থী এবং অভিবাবক চাঁদা তুলে নির্মান কাজ করা হয়েছে।

গুলিশাখালী বাজারের ব্যবসায়ী সুলতান গাজী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পনেরো বছর ধরে উন্নয়ন মূলক কাজে একটি টাকাও খরচ করেন না। শিক্ষার্থীরা নিজেদের টাকা দিয়ে মাঠ ভরাট করছে।এটা ভালো উদ্যোগ।তবে স্কুলের বরাদ্দকৃত টাকা কোথায় যায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন  সেলিম মুঠো ফোনে বলেন, পনেরো বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে কোন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কোন বরাদ্দ পাইনি কিভাবে কাজ করব।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সেলিম মাহমুদ বলেন,গুলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোন বরাদ্দ পেয়েছে কি না আমার জানা নেই। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম  ঐ স্কুলে বরাদ্দ পেয়েছে কি না এ বিষয়ে বলেন,বিদ্যালয়ের বরাদ্দের বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার ভালো জানবেন।আর ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন লিখিত অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।