উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ সানজিদা সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন আল কাইয়ুম, ধুনটমোড় সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, উপজেলা সেমি অটো মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, শেরপুর থানা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস কুদু, সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রেজা হিটলার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, খাদ্য শস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির নেতা আলহাজ্ব বছির উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন মহসিন, এমপির পিএস কোরবান আলী মিলন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ধান-চাতাল ব্যবসায়ী, কৃষক, মিল মালিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৫ হাজার ৩০২ দশমিক ৯৮০ মেট্রিকটন চাল ও ১হাজার ২৪৫ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই চাল সরবরাহ করার জন্য ১শ’ ৫৩জন মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের নিকট থেকে ৪২টাকা কেজি দরে চাল কেনা হবে। আর লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকদের নিকট থেকে ২৮ টাকা কেজিতে ধান নেওয়া হবে। আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে বলেও সূত্রটি জানান। এদিকে দেরিতে সংগ্রহ অভিযান শুরু করায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই উপজেলার কৃষকরা। এছাড়া স্থানীয় বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ধান-চালের দাম বেশি। তাই খাদ্য গুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই তাদের। একাধিক কৃষক জানান, প্রায় দেড় মাস আগে আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ করে ফেলেছেন। সেইসঙ্গে তাদের উৎপাদিত প্রায় সব ধানই বিক্রি করে ধার-দেনা পরিশোধ করেছেন।
কিন্তু তখন সংগ্রহ অভিযান শুরুই করা হয়নি। আর এখন তাদের গোলায় যে পরিমান ধান রয়েছে, তা সরকারি গুদামে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ গুদামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে ধানের মূল্য বেশি। তাই বাজারেই ধান বিক্রি করছি। জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন আল কাইয়ুম বিলম্বে সংগ্রহ অভিযান শুরুর বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এবার স্থানীয় বাজারে ধানের মূল্য একটু বেশি থাকায় কৃষকরা সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এরপরও যেহেতু আমন ধান সংগ্রহের অনেক সময় আছে, তাই লক্ষ্যমাত্রা পুরুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ধান-চালের দামও কমতির দিকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।