কথা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন -লোন পাওয়ার শর্তের মধ্যে নির্ধারিত ডকুমেন্ট ছাড়াও একজন সরকারি চাকুরীজীবি ব্যক্তির গ্রানটেড জরুরি। অন্য সব ঋণ গ্রহিতার ব্যাপারেও এমন শর্ত মানা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-কখন কাকে লোন দেয়া হয়েছে তা ওনার ঠিক মনে নেই।

আমাদের পছন্দ না হলে আমরা কাউকে লোন দেই না-এমন মন্তব্য করেছেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কুতুবদিয়া শাখার শাখা ব্যবস্হাপক ওরারেছ সিদ্দিকি।  ব্যাংক সেবা নিতে এসে বারবার হয়রানি শিকার হওয়া ভুক্তভোগী কুতুবদিয়ার রুহুল কাদের প্রতিবেদকে জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কুতুবদিয়া শাখার শাখা ব্যস্হাপক জনাব ওয়ারেছ সিদ্দিকী তাকে লোন দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন।তিনি (ভুক্তভোগী) আরো জানান একেকদিন গেলে ওয়ারেছ সিদ্দিকি বিভিন্ন কাগজ ও ডকুমেন্ট জোগাড় করতে বলেন। সেবা প্রার্থ রুহুল কাদের বেশ কয়েকবার এভাবেই সকল ডকুমেন্টস নিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের দ্বারস্ত হলেও মিলেনি কোন প্রতিকার।

ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়ারেছ সিদ্দিকির সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।বরং আমাদের প্রতিবেদকে ব্যাংকে গিয়ে সমঝোতার কথা বলেন। কথার ফাকে লোন নিতে কি কি ডকুমেন্ট বা শর্ত প্রযোজ্য জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে সব তথ্য দেয়া আছে, কারো দরকার হলে সেখান থেকে যেন দেখে নেয়।একজন দ্বায়িত্ব শীল পদে থেকে এমন মন্তব্য তার কাছ থেকে আশা করা যায় না। কথা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন -লোন পাওয়ার শর্তের মধ্যে নির্ধারিত ডকুমেন্ট ছাড়াও একজন সরকারি চাকুরীজীবি ব্যক্তির গ্রানটেড জরুরি। অন্য সব ঋণ গ্রহিতার ব্যাপারেও এমন শর্ত মানা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-কখন কাকে লোন দেয়া হয়েছে তা ওনার ঠিক মনে নেই। সেবা প্রার্থী আরো অভিযোগ করে বলেন -একই শাখায় কর্মরত শহিদুল ইসলাম এলাকার বাসিন্দা। তার সাথে এলাকায় যাদের সাথে সুসম্পর্ক ও কমিশনের  কথা ঠিক থাকলেই মিলে যে কোন সেবা বা ঋণ।

অন্যতায় এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তিনি ব্যবস্থাপকে এক প্রকার নিয়ন্ত্রণ করেন।ভুক্তভোগীর অভিযোগ শহিদুল  ইসলামের সাথে সুসম্পর্ক না থাকায় তিনি এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে মনে করেন। সকল ডকুমেন্ট ও গ্রানটার নিয়ে রুহুল কাদের গত ৪জুন সোনালি ব্যাংক লিমিটেড কুতুবদিয়া শাখায় উপস্থিত হলে শাখা ব্যবস্হাপক তাকে সাফ জানিয়ে দিয়ে বলেন "কাউকে আমাদের পছন্দ না হলে আমরা ঋণ দেই না"। অথচ ভুক্তভোগী রুহুল কাদের মতে এমন অনেক জনকে তিনি চিনেন যারা অনেকেই এত রকম ডকুমেন্টের তোয়াক্কা না করেই শহিদুল ইসলাম ও ওয়ারেছ সিদ্দিকির সাথে লেয়াজু করেই তুলে নিয়েছেন সরকারি বিভিন্ন মাপের ঋণ। ব্যাংক কর্মকর্তাদের এমন সেচ্ছাচারি আচরণ ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চান ভুক্তভোগী সহ ব্যাংক সেবা গ্রহীতাগন।