রাত গভীর হলেই খবর আসে ডাকাতি কিংবা চুরির। রয়েছে কিশোর গ্যাংদের উৎপাত। ঘটে মারামারি সহ পুলিশের উপর হামলার ঘটনাও। তবে অধিকাংশ সময়ে জনবল সংকটে ঘটনাস্থলেই পৌছতেই হিমশিম খেতে হয় পুলিশের। অথচ যুবলীগ নেতার ব্যবসা বাঁচাতে ব্যস্ত আশুলিয়া থানা পুলিশ। ভোর থেকে পোশাক কারখানার সামনে কড়া পাহারায় থাকে থানা পুলিশের একাধিক উপ পরিদর্শক। অভিযোগ রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় অংশগ্রহণ করা যুবলীগ নেতার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেই যেন এতো আয়োজন। এভাবেই গত তিন দিন ধরে পুলিশ পাহারায় চলছে যুবলীগ নেতার ঝুট স্থানান্তরের কাজ। জানা যায়, গত ৫ই আগস্টের পর পর আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার প্রীতি গ্রুপের একটি কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলে নেয় ইয়ারপুর যুবলীগের সহ সভাপতি রনি ভূইয়ার বাবা বকুল ভূইয়া। বেশ কিছু দিন ধরে বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয় ঝুট স্থানান্তর কাজ। গত ২১ই ডিসেম্বর থেকে আবারও শুরু হয় সে প্রক্রিয়া। তিন ধরে চলছে ঝুট লোড আনলোডের কাজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল কয়েকমাস আশুলিয়ার শিল্প কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলাকালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ছিল ব্যপক তৎপরতা। কাজ করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এদিকে থানা পুলিশের অংশগ্রহণ ছিল অনেকটাই নিরব ভূমিকায়। তবে সম্প্রতি একটি কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ে নিরাপত্তা দিতে ব্যপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় থানা পুলিশের। থানার দৈনিক ডিউটি চার্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি গত ২১ই ডিসেম্বর ভোর থেকে আশুলিয়া থানার রমজান আলীর নেতৃত্বে আরও তিন উপ পরিদর্শক ও এক সহ উপ-পরিদর্শক। সাথে ছিলেন প্রায় ১৫জন থানা পুলিশ সদস্য। ২২ই ডিসেম্বরও ছিল ৫জন উপ পরিদর্শক ও একজন সহ উপ-পরিদর্শক। নিরাপত্তায় ২৩ই ডিসেম্বর ছিলেন দুই উপ-পরিদর্শক ও এক সহ উপ-পরিদর্শক। তবে পুলিশের উপস্থিতিতেই গ্রুপের কারখানার সামনেই শিল্প পুলিশের এক গোয়েন্দা সদস্যদের উপর হামলা হয়। ঘটে যায় ঝুট বোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনাও। মারধরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া ট্রাক। তবে তিন দিন প্রীতি গ্রুপের এস সূহী ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের প্রধান ফটকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে আছে পুলিশ। যুবলীগ নেতার ঝুট স্থানান্তরের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক রমজান আলীর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার অনুরোধ করেন।
