কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর মাত্র চার দিন। এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাজারগুলোতে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম।

মসলাজাতীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে ২০-২০০ টাকা পর্যন্ত। মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে দেশি টাকার মান কমে যাওয়া। উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি জিরা ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু ১৫ দিন প্রতি কেজি জিরা ৪২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ১ হাজার ১০০ টাকার লবঙ্গ ১ হাজার ৩০০ টাকা, ২ হাজার-২ হাজার ৪০০ টাকার এলাচ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, ৮০০ টাকার কাজুবাদাম ৯০০ টাকা, ২ হাজার টাকার পেস্তাবাদাম আড়াই হাজার, ৬০০ টাকার গোলমরিচ ৮০০ ও ৩০০ টাকার কিচমিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উল্লাপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী তানভীর হোসেন "দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ" প্রতিবেদককে বলেন- গরম মসলার সব পণ্য দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। রোজার ঈদের পর থেকেই এর বাজার চড়া হতে শুরু করেছে। একই বাজারের ব্যবসায়ী বলরাম কুণ্ডু বলেন, মসলার মূল্য বৃদ্ধির পেছনে আন্তর্জাতিক একটা ইস্যু রয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবে জাহাজের বুকিং কমে যাওয়ায় পণ্যের আমদানি কমে গেছে। আমাদের পাইকারী বাজারে বেশি দাম দিয়ে মসলা কিনতে হচ্ছে।

উপজেলার রেলওয়ে বাজার ষ্টেশনের ব্যবসায়ী মো. আব্দুল জলিল বলেন, গরম মসলার দাম বেড়েছে। তবে ঈদের আগেই আরো এক দফা বাড়তে পারে এসব পণ্যের দাম। বালসাবাড়ী কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী মো. হক মিয়া বলেন, তেল, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। আর কোরবানির ঈদ এলেই  প্রতি বছরই বেড়ে যায় মসলার দাম।