অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে অংশ নিন’' এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে এবং সময়ের বিবর্তনে একটি দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করার লক্ষ্য সারা বাংলাদেশের ন্যায় রাজস্থলীতেও দেশের ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারীর মূল তথ্য সংগ্রহ করার কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে।প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার এবং আইটি সুপারভাইজাররা অর্থনৈতিক শুমারীর তথ্য-উপাত্ত ট্যাবের মাধ্যমে Computer Assisted Personal Interviewing (CAPI) পদ্ধতিতে সংগ্রহ করবেন।চলমান এই অর্থনৈতিক শুমারীর আওতাভুক্ত থাকবে দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সকল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত খানা এবং সকল প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খামার। অর্থাৎ শুমারীকর্মীরা এই তিন ক্যাটাগরির তথ্য এবং উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী দুইভাবে গণনা করা হবে। স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যালয়, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হবে। আর অস্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অস্থায়ী মাছের দোকান, অস্থায়ী লঙ্গির দোকান, অস্থায়ী ফলের দোকান বাঁশের দোকান, কাঠের দোকান, সেনিটারি পন্য, বিভিন্ন বাজারের শেড ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হবে।অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত খানা ক্যাটাগরিতে যেসকল খানায় বাঁশ-বেতের কাজ, মাটির কাজ, তালপাতা তৈরি, শীতল পাটি তৈরী, কাঁথা সেলাই, তাঁত, কামারের কাজ, মুড়ি ভাজা, বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হবে। আর প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি খামার ক্যাটাগরিতে গবাদিপশুর খামার, অন্যান্য পশুর খামার, হাঁসমুরগির খামার, পাখির খামার, মৎস খামার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিভিন্ন ফলের বাগান, নার্সারী ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত হবে।এদিকে শুমারীর অগ্রগতির জন্য পুরো রাজস্থলী উপজেলা দুটি জোনে ভাগ হয়েছে। উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া এবং গাইন্দ্যা ইউনিয়নকে জোন ১ ধরা হয়েছে এবং এই জোনের তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন জোনাল অফিসার সুবর্ন সাহা। আর ঘিলাছড়ি ইউনিয়নকে জোন ২ হিসেবে ধরা হয়েছে এবং এই জোনের তদারকি করবেন জোনাল অফিসার মোঃ শাহজাহান। এছাড়া এই অর্থনৈতিক শুমারী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলার মোট ৩১ জন গণনাকর্মী, ৬ জন সুপারভাইজার এবং ২ জন আইটি সুপারভাইজার কাজ করবেনএর আগে লিস্টিং অপারেশনের মাধ্যমে রাজস্থলী উপজেলায় মোট ১০৩০টি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত খান এবং ১৫৮৬ টি প্রতিষ্ঠান গণনায় তালিকাভুক্ত হয়। এগুলো ছাড়াও নতুন কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্বলিত খানা অথবা প্রতিষ্ঠান তৈরী হলে সেগুলোও মূল শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।