পিরোজপুর জেলার মঠবারিয়া উপজেলার ৯ নং শাপলেজা ইউনিয়নের কচুবারিয়া থেকে ভাইজোরা পর্যন্ত রাস্তাটি যেন একরকম মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে । মঠবারিয়া উপজেলার শাপলেজা ইউনিয়নের কচুবারিয়া থেকে ভাইজোরা পর্যন্ত আনুমানিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। কচুবারিয়ায় ইট তৈরি ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ উপেক্ষা করে চলছে অবৈধ ইট ভাটা।

এসমস্ত ইট ভাটায়  ইট কেনা বেঁচায় ভারি যানবাহন ব্যবহার করার ফলে রাস্তাটির বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। কাঠ এবং ইট পরিবহনের ক্ষেত্রে ডাম্পার এবং মিনি ট্রাক ব্যবহারের ফলে দিনের পর দিন নষ্ট হচ্ছে এবং সামনে বৃষ্টির মৌসুমে এর পরিনতি হবে ভয়াবহ। ধুলাবালিতে জনদুর্ভোগে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে সাধারন মানুষ। একদিকে রাস্তায় ধুলাবালি অন্যদিকে রাস্তাটি গর্তে পরিণত হয়েছে।  সড়কটির বেহাল দশার কারনে এলাকার লোকজন  উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য  হাসপাতালে নিতেও পারছেনা। সাধারন মানুষ তীব্র ভোগান্তির শিকার হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহনের বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।

এ ইট ভাটা গুলো কার্যক্রম চালিয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। অনেক বছর যাবত রাস্তাটির সংস্কার এর কাজ করা হয়নি,  স্থানীয়রা জানান রাস্তা সংস্কার করার সময়  ইট ভাটার ইট পরিবহনে সমস্যার কারনে রাস্তা মেরামতের ও উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ।  যার ফলে এসব এলাকার সড়ক গুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কে চলাচল করতে গিয়ে নানারকম দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে মানুষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , রাস্তাটি ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ভ্যান এবং কোন যানবহন যেতে চায় না। শিক্ষার্থীদের হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হয়। ধুলাবালুতে স্কুলের ড্রেস নষ্ট হয়। শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ধোয়ায় দিন দিন পরিবেশ বিপর্যস্ত হলেও বহাল তবিয়তে অবৈধ ইট ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মালিকপক্ষ। মঠবারিয়া ৯নং শাপলেজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নি।