সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সকাল ১০ টার দিকে উপাচার্যের নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।তাদের দাবি তিনটি হলো- প্রথমত, ইন্সটিটিউট এর নাম সংস্কার করে শুধুমাত্র তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ও ইংরেজিতে Institute of Comparative Literature and Culture করতে হবে।দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে ইনস্টিটিউটকে বিসিএস বিষয় কোডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শেষ দফা হলো, অতিদ্রুত ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধু তূলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন সহ তিন দফা দাবিতে  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে সকাল ১০ টার দিকে উপাচার্যের নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।তাদের দাবি তিনটি হলো-  প্রথমত, ইন্সটিটিউট এর নাম সংস্কার করে শুধুমাত্র তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ও ইংরেজিতে Institute of Comparative Literature and Culture করতে হবে।দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে ইনস্টিটিউটকে বিসিএস বিষয় কোডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শেষ দফা হলো, অতিদ্রুত ইনস্টিটিউটের ক্লাসরুম সংকট দূর করতে হবে।

এ সময় ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সোহান শরীফ বলেন, আমরা দেখেছি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ আছে কিন্তু কোনো ব্যক্তির নামে নেই। শুধু আমাদের বিভাগের নাম ব্যক্তির নাম দিয়ে।  আমরা এ বিষয়টির যৌক্তিক  সংস্কার চাই। এছাড়াও বিভাগের পরিচালক ও সকল আবর্তনের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘ ব্যক্তির নামে কোন বিভাগ থাকতে পারে না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত চিন্তা করে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করবো। প্রয়োজনে শিক্ষকদের সাথে আলোচনার কথাও তিনি জানান।

এ বিষয়ে ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মেহেরাব সিফাত বলেন, তুলনামূলক সাহিত্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য একটি ডিসিপ্লিন হলেও বাংলাদেশে কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়টি স্নাতক পর্যায়ে পড়ানো হয়। কিন্তু হতাশার বিষয় হলো জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এই ইন্সটিটিউটের এখন বেহাল দশা বিদ্যমান। সেশনজট , ক্লাসরুম সংকট,শিক্ষক সংকট ও নতুন বিষয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক সংকটের কারণে ইন্সটিটিউটে প্রকট সমস্যা দেখা দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে পরবর্তী ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া এই ইন্সটিটিউটেও লাগুক সেটিই এখানকার শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ২০১৭ সালে ৪৭ তম আবর্তন দিয়ে যাত্রা শুরু করেও ৭ বছরে একটি ব্যাচও তাদের স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেনি।