গতকাল এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের মাঝে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারগন। তাদের মধ্যে রয়েছে ১ নং আসামি মোহাম্মদ দীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের পরিবার এবং ২ নং আসামি সাইফুল মাদবরের পরিবার এবং ৩নং আসামি ৫ নং আসামি 6 নং এবং ৭ নং আসামির পরিবারগন।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ইসলামপুর ইউনিয়নের সম্প্রতি রাসেল সরদার হত্যা মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে তাদের পরিবার এবং এলাকার অন্যান্যরা দাবি করেছেন। 

গতকাল এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের মাঝে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারগন। তাদের মধ্যে রয়েছে ১ নং আসামি মোহাম্মদ দীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের পরিবার এবং ২ নং আসামি সাইফুল মাদবরের পরিবার এবং ৩নং আসামি ৫ নং আসামি 6 নং এবং ৭ নং আসামির পরিবারগন। 

১নং আসামী দিন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের পরিবার বলেন,দিন মোহাম্মদ দুলাল মাদবর ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং অত্র অঞ্চলের মধ্যে একজন ভালো মানুষ হিসেবেই এলাকাবাসীর কাছে সুপরিচিত আছেন। তার এই সুপরিচিতি এবং জনপ্রিয়তাই তার প্রতিপক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি হিংসার এবং শত্রুতার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বারবার দিন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় রাসেল হত্যা মামলায় তাকে আসামি করাটাও এমনই একটি কারণ। 

২ নং আসামির সাইফুল মাতবর এর স্ত্রী হাবিবা রহমান (রিমু) জানান, বিগত দিনে আমার স্বামী সাইফুল মাতবরকে বিভিন্নভাবে হত্যার চেষ্টা করা এবং তার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা এটা নতুন কিছু নয়।বিগত চার মাস পাঁচ মাস আগে আমার স্বামী সাইফুল মাদবরকে এই শত্রুরা দা দিয়ে কুপিয়ে বিলের পারে ডোবার মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায় তারপর এলাকার মানুষ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সেই ধারাবাহিকতায় আমার স্বামী সাইফুল মাতবরকে চার থেকে পাঁচ মাস ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়। সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণে এখন নতুন করে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার নাম জড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সাইফুল মাতবরের স্ত্রী চৈতি বেগম।

 ৩নং আসামি দেলোয়ার সৈয়াল এর স্ত্রী জামিলা বলেন আমার স্বামী একজন খেটে খাওয়া দিনমজুর আমি কোন মতে স্বামী সংসার নিয়ে জীবনযাপন করছি। কিন্তু আমার স্বামী, দীন মোহাম্মদ দুলাল মাদবরের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জড়িয়ে ছিলেন সে কারণেই আমার স্বামীকে দুলাল মাদবরের সাথে চলাফেরা করার দোষেই দোষী করা হয়েছে। আমি বলতে চাই আমার স্বামী দেলোয়ার সৈয়াল সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ তাই তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক তাই এই মামলা শীঘ্রই  প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। 

৫নং আসামি পারভেজ ফকিরের স্ত্রী লাকি বলেন, আমার স্বামী একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা তিনি প্রবাসেই থাকেন কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন অল্প কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে চলে যাবেন বলে তিনি দেশে এসেছিলেন। কিন্তু এই রাসেল হত্যা মামলার বিষয়ে আমার স্বামী কোন কিছুই জানেন না তিনি বিগত দিনে রাজনীতি করতেন তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি দলের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। কিন্তু বহু বছর হয় তিনি প্রবাসী। এই মামলায় তাকে আসামি করা নেহাত ষড়যন্ত্র এবং শত্রুতা দমনের পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয় তাই আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের   জানাচ্ছি। 

৬নং আসামি বাচ্চু ফকিরের স্ত্রী চৈতি বলেন, আমি আমার বাবার বাড়ি মাদারীপুরে ছিলাম সেখানে আমার সাথে আমার প্রবাসী স্বামী বাচ্চু ফকির ছিলেন কিন্তু এই মামলার আসামি আমার স্বামীকে কি করে দেয়া হলো সেটা আমার বোধগম্য নয় কিন্তু এতোটুকু বুঝতে পারি যে, আমার স্বামীর পরিবারের সাথে পূর্বে থেকেই একটি মহল শত্রুতা করে আসছে তারই ধারাবাহিকতায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমার স্বামীকে  এই মামলার আসামি করা হয়েছে। কাজেই বাচ্চু ফকিরের নামে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এ দাবি আমার একার নয় এ দাবি এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরও। তাই তারা সকলেই আমাদের সাথে এখানে উপস্থিত হয়েছেন আপনারা তাদের মুখ থেকেই বাকি কথাগুলো শুনতে পাবেন এরপর পেছনের শাড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা দেড়শতাধিক মহিলা এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।