বালু উত্তোলনের ফলে চরম হুমকির মুখে পড়েছে খাল তীরবর্তী গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও আবাদি জমি। প্রশাসনের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে থাকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন ইছাখালী খাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো। নিজের ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু কারও যেন কিছু বলার নেই। এই বালু উত্তোলনের মাধ্যমে একদল অবৈধভাবে লাখ টাকা কামাচ্ছে। সেলু মেশিন দিয়ে যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলন করলে খালের গতি পরিবর্তিত হয় এবং পাড় ভেঙে যায়। অর্থাৎ খাল থেকে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিরও ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, গুটিকয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। তাদের দাবি, অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটাও তদন্ত করে বের করতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পোকখালী ইউনিয়নের পুর্ব ইছাখালীর আওয়ামী দোসর রিদুয়ানের নেতৃত্বে একটি চক্র ছুরাম্মামুরা খাল থেকে অবাধে বালু তুলে লাখ টাকার অবৈধ ব্যবসা করছেন। এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত খাল থেকে প্রতিদিন বালু তুলছে। এসব বালু বিক্রি করছে বিভিন্ন এলাকায়। এভাবে বালু তোলা অব্যাহত থাকলে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জমির মালিক বলেন, কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। এ বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজের ব্যবসা করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতি হয় ফসলি জমির। জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী রিদুয়ান বলেন, আমার মতো অনেকেই বালু উত্তোলন করছে। তাছাড়া আমি একা না সবাইকে সম্পৃক্ত করেই বালু উত্তোলন করছি। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ঈদগাঁও'র শারমিন সুলতানা বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। তাছাড়া রাতে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। খুব শিগগিরই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।