সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত উপশহর এলাকায় বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকে।এতে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। মধ্যরাত থেকে সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত একটানা ভারী বৃষ্টিতে পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় রাস্তাঘাট।সকালবেলা ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনি।

শিক্ষক,ব্যাংকার,অন্যান্য চাকরিজীবীসহ অনেকেই সময়মতো নিজ নিজ কর্মস্থলে যেতে পারেননি ।এভাবে পানি জমে থাকলেই লোকজনের মনে বন্যার  ভয় দেখা দেয় । উপশহর এলাকার অধিবাসী ময়নুল ইসলাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে।আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই। এ ব্যাপারে প্রতিবেদকের সাথে আলোচনা করেন শাহজালাল উপশহর এফ ব্লকে অবস্থিত জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ ও দক্ষিণ উপশহর সমাজ কল্যাণ সংস্থার বর্তমান সহ-সভাপতি প্রফেসর ড.মো.হাসমত উল্লাহ সাহেব।

তিনি জানান,একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি আমার এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ।হঠাৎ করে জলাবদ্ধতা হওয়ার অনেক কারণ আছে।শাহজালাল উপশহর এলাকা একটি আবাসিক এলাকা ।বিশেষ করে এফ ব্লক,জি ব্লকে যে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় তা শুধু বৃষ্টির পানিতে হয় না ।এফ ব্লকের দক্ষিণ পাশে ও জি ব্লকের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে যে এলাকাগুলো রয়েছে সেই এলাকার পানি এদিকে চলে আসে।কিছু লোকজন নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার জন্য পানি এদিকে আসার ব্যবস্থা করে দেন।এতে আমাদেরকে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় ।তাছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নিচু কালভার্ট ইত্যাদিকেও কারণ বলা যায় ।

জনপ্রতিনিধির সাহায্য চেয়েছেন কি না এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা আমাদের স্থানীয় কাউন্সিলর সাহেবের নিকট অনেকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছি।কিন্তু কাজের অগ্রগতি হয়নি।আমরা আশায় আছি। জলাবদ্ধতার জন্য এলাকাবাসী লোকজন কোনোভাবে দায়ী কি না এরকম প্রশ্ন করা হলে অধ্যক্ষ জানান, অবশ্যই ।এলাকার লোকজন যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে,বিশেষ করে ড্রেনের মধ্যে পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এরকম অনেক কিছু ফেলে রাখে। আমাদের একটি দাবী কাউন্সিলর-মেয়র সবার প্রতি ,জলাবদ্ধতা দূর করার স্থায়ী ব্যবস্থা করুন।