সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দ্বিতীয় পর্যটন স্পট উৎমা ছড়া। এ ছড়ার নানা রংয়ের পাথর ও বালু বিলীন হয়ে গেছে। সিলেট জেলা যুবদল নেতা ফরহাদ সিন্ডিকেট সম্পূর্ণ খেয়ে ফেলেছে উৎমা ছড়ার পাথর সমাহার ও বালুর সমারোহ। শুধু পাথর বালু লুটপাট নয়, ছড়ার খা'ড়ার ব্রিজটিও ধবংস করে দিয়েছে ফরহাদ চক্র। ফলে সাদাপাথরের ন্যায় উৎমা ছড়ায়ও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন পর্যটকরা।
সিলেট জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাকিম আহমেদ ফরহাদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের ফয়জুল হকের পুত্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুবদলের ফরহাদের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট পর্যটন স্পট সাদাপাথর ও উৎমা ছড়ার বালু-পাথর লুটপাটে জড়িত। ফরহাদ
সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর জাঙ্গাইল গ্রামের মৃত হরমুজ,আলীর পুত্র মইন উদ্দিন ও তার ভাই সিরাজ উদ্দিন, মইন উদ্দিনের পুত্র আলী নূর, একই উত্তর জাঙ্গইলের সমু মিয়ার পুত্র রাসেল, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র কালা মিয়া ও তার ভাই সাদেক হোসেন, উপজেলার বনপুর গ্রামের মৃত ডাক্তার ইলিয়াছুর রহমানের পুত্র এনামুল হক, একই গ্রামের মৃত ইসমাইল আলীর পুত্র আব্দুল গাফফার কালা, মহব উল্যার পুত্র আব্দুল মালিক ওরফে ভিজি মোল্লাও বনপুরের মফিজ আলীর পুত্র উছমান।
এই সিন্ডিকেট গত ৫ মাস ধরে অব্যাহত ভাবে উৎমা ছড়ার বালু ও পাথর লুট করতে থাকে। কয়েক মাসে ওই সিন্ডিকেট উৎমা ছড়ার প্রায় ১ কোটি ঘনফুট বালু ও প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট পাথর লুটপাট ও বিক্রি করে। ২শ ফুটের প্রতিটি পাথর-বালুর গাড়ি থেক তারা ৪ হাজার টাকা করে আদায় করে।
বিএনপির রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে উৎমা ছড়ায় এহেন হরিলুট চালিয়েছে ফরহাদ। শুধু সরকারী ভূমির বালু-পাথর নয়, আশপাশ এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন অনেকে জমি খুূদাই করে বালু-পাথর নিয়ে যায় ফরহাদ। প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী ও ক্যাডার হওয়ায় কেউ তাদের প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
অতি সম্প্রতি সাদাপাথর কাণ্ডে প্রশাসনের অভিযানকে সামনে রেখে ফরহাদ সিন্ডিকেট সাময়িক ভাবে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
সেলফোনে আলাপকালে বালু-পাথর লুটপাটের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাকিম আহমেদ ফরহাদ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান উৎমা ছড়ার বালু-পাথর লুটের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পিকনিক স্পটটি অনেক দূর্গম এলাকায় হওয়ার সব সময় নজরদারিতে রাখা সম্ভব হয়না। মাস দ'এক আগে ইউএনও ম্যাডামকে নিয়ে এই স্পটে অভিযান পরিচালনার কথা জানান তিনি।