বগুড়ার মহাস্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার ক্ষমতার জোর কোথায়

বগুড়ার মহাস্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের  কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার ক্ষমতার জোর কোথায়। চাকুরী নিয়োগ বিধির তোয়াক্কা না করে  একই অফিসে দীর্ঘ ৬ বছর যাবত চাকরি করেছেন তিনি আর এই দীর্ঘ সময় একই অফিসে থাকার কারণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জর্জরিত  কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা (ধারাবাহিক নিউজের আজ থাকছে ১ম পর্ব)। 
মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর এলাকায় বন বিভাগের মূল্যায়ন ব্যতীত সরকারি গাছ কর্তন, মাজার এলাকায় ব্যক্তিগত টিকিটে গাড়ি পার্কিং, গড় এলাকার সরকারি জমিতে টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণে গোপনে অনুমতি দেন তিনি।
কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার সিন্ডিকেটটি এতটাই শক্তিশালী যে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠার পরেও তাকে বদলি করার সাহস পর্যন্ত কেউ করেনি। কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো দপ্তর পরিচালনা করে আসছে তিনি। প্রায় অর্ধ যুগ একই দপ্তরে চাকরি সুবাদে দপ্তরটিতে নিজের একটি অনুসারী গ্রুপ তৈরি করেছে আর এই গ্রুপের কর্মচারীদেরকে দিয়ে তিনি নানা অনিয়মের কাজ করছে তিনি। 
লোকমুখে শোনা যায় সাবেক প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক  নাহিদা সুলতানার যোগসাজশে নাকি মাস্টারোলে কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যেও রাজিয়া সুলতানার অবদান ছিলো বেশ জোড়ালো।
বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের সংবাদ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশের পরেও রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কারো সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালক  এ কে এম  সাইফুর রহমান এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তার বন্ধ দেখায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের একজন কর্মকর্তা জানান, রাজিয়া সুলতানা  আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী আমলা ছিলেন, তিনি অধিদপ্তরের সকল আওয়ামী সিন্ডিকেট কে প্রশ্রয় দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের যেকোনো মিটিং বা দিবসে কর্মচারীদের জোর করে আসছে বাধ্য করতো এবং অতিউৎসাহী হয়ে আওয়ামী সকল দিবস পালন করতো । মহাস্থান গড়ে ঘুরতে আসা আওয়ামী লীগের বড় মাপের নেতা বা সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করতো এবং দপ্তরের তাদের জোর খাটাতো। 
এ নিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। 
জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের বিভিন্ন তথ্য নিতে গেলে রাজিয়া সুলতানা তথ্য  দিয়ে সহযোগিতা না করে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে কর্কশ ভাষায় ব্যাবহার করেন।  
এ বিষয়ে  মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের নিকট  একাধিক কর্মচারীদের দাবি সরকারি দপ্তরটি যেনো সরকারের নিয়মে পরিচালিত হয় সরকারের বিপুল পরিমান আয়ে ভুমিকা রাখা দপ্তরটি কে আওয়ামী সিন্ডিকেট মুক্ত করা হয়।