গত ২০২৪ সাল এর ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দেশের শীর্ষে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বড় একটি অংশ ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং দক্ষিণ সিটির আংশিক এলাকা জুড়ে আলোচনায় গত মাস জুড়ে নাম ছিলো সুইডেন আসলাম, সানজিদুল হাসান ইমন, পিচ্চি হেলাল, জোসেফ (বর্তমানে সবাই পোলাতক), মগবাজার বাংলা মটর মালিবাগ সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, টিটন সহ আরো অনেক অনেক নাম ।সানজিদুল হাসান ইমন- বর্তমানে তিনি বিদেশে থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে তার পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী শক্তি মাঠে কাজ করছেন, এখানে সকল মহলের মানুষই প্রায় একই জালে বিছানো একটি মিশ্রনে গঠিত । নতুন গল্পে ই-কোম্পানী-অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে ই-কোম্পানী বিডি-র প্রধান উপদেষ্টা ই-কোম্পানি বিডির চেয়ারম্যান সানজিদুল হাসান ইমনের মা, ডাঃ মিসেস সুলতানা জাহান । কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এলিফ্যান্ট রোডে এবং ধানমন্ডি ৭/এ তে, ঘটে যাওয়া পৃথক দুটি ঘটনা নিয়ে বিবৃতিতে ডাঃ সুলতানা জাহান বলেন আমার ছেলে সানজিদুল হাসান ইমন একটি পরিস্কার ব্র্যান্ড এবং স্বচ্ছ মনের অধিকারী, ইমনের কিসের অভাব যে, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল বা চক্র যাই বলি না কেন, তারা সারাক্ষণ ইমনের নামের সাথে একটি ট্রেডমার্ক শব্দ "শীর্ষ সন্ত্রাসী" ব্যবহার করেন থাকবে কেন সেটা?? আল্লাহ্ তায়ালা ভালো জানেন তারা কি মজা পায়, কি শান্তি আসে, ইমন সু-শিক্ষায় সুশিক্ষিত একটি ছেলে, ভালো বাবা, মায়ের সন্তান অতএব ইমন খারাপ কিছু করবে এটা আমি আশা রাখি না,
পরবর্তীতে একান্ত সাক্ষাৎকারে দ্য ডেইলি মর্নিং পোস্ট কে ডাঃ সুলতানা জাহান বলেন, এই যে সবাই আমাকে ই-কোম্পানি বিডির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মনে করেন, আমি কিন্তু জানি না, সেদিনই কাছের একজন বললেন আর আজ আপনার মুখে শুনেছি, ভালো ই লাগছে কারণ এই ই-কোম্পানি বিডি সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেন এ অবশ্যই গর্ভের বিষয়। ডাঃ সুলতানা জাহান বলেন সর্ব সময় গরীব এতিম শিশু শিক্ষা বিকাশ সংজ্ঞা লোগো মানুষের পাশে দাঁড়াতে একজন সু নাগরিক হিসেবে উজ্জীবিত কর্তব্য। গত কয়েকদিন ধরেই কে বা কাহারা চালিয়ে যাচ্ছেন নানান সুরে এক কথা ধানমন্ডি/হাজারীবাগ/কলাবাগান / নিউমার্কেট এবং আশপাশের এলাকায় হঠাৎ করেই নাকি মানুষের কল্যাণে ই-কোম্পানী চালিয়ে যাচ্ছেন নানান ধরনের "ভালো কাজ" সাধারণ মানুষের মধ্যে বর্তমান বিষয়টিকে ভালোভাবেই দেখছেন, যা পারা মহল্লায়, সকালে চায়ের দোকানে ভাগ ভাগ বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে গত কয়েক দিন থেকেই এমন একটি হাওয়ার সংবাদ বেরাচ্ছে, বিষয় টা স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর মাধ্যমে আরো পরিষ্কার করে জানতে পারলাম আরো কিছু তথ্য, পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানে (দ্য মর্নিং পোস্ট টিম)। এবার জানতে পারলাম, সকল ধর্মের পাশাপাশি বিশেষ করে সনাতন ধর্মী মানুষের পাশে নাকি নতুন এক ছায়ার মত আশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি নাম, কি সেই নাম জানতে চাইলে কেউ কেউ বলছেন- সবই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের খেলা, আবার কেউ বলেন মোটা ভাই, আবার কেউ কেউ ক্যাপ্টেন ইমন, ২০২৫ কলেজ পড়ুয়া প্রজন্মের কিছু ছেলের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের স্মার্টনেস আবির্ভাব সম্পর্কে, আরো জানতে পারলাম তারা অনেকেই এখন ই-কোম্পানী বিডির চেয়ারম্যান হিসেবেই ভাইকে (ইমন) কে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। তার ক্ষমতা সম্পর্কে নানান মানুষ নানান ভাবে জানান দিলেন, কিন্তু এটা সত্যি সবার সাথে কথা বলে একটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলাম যে, তাকে কাছাকাছি হয়তো এদের ভিতরে অনেকেই দেখেননি ৯৩% আবার কেউ কেউ খুব কাছ থেকেই চেনেন এর সংখ্যা খুব বেশি নয় এরা যার যার কর্ম নিয়ে ব্যস্ত সবার অবস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠিত, আর যারা শুনেছেন তা শুধুই গল্প । এটা সঠিক বুঝতে পারলাম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বর্তমান কিশোরদের মুখে মুখে প্রচার সংখ্যা প্রচুর, সবাই নাকি ভাইয়ের লোক । ধানমন্ডি হাজারীবাগ এবং এর আশপাশ এলাকা ঘুরে হাওয়ায় ভেসে যাওয়া সংবাদটি সঠিকভাবে জানতে এলাকায় সনাতন ধর্মীয় মানুষদের সাথে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে জানতে পারলাম তাদের দীর্ঘদিনের হয়ে যাওয়া দখলকৃত জায়গা যেমন, মন্দির, মুসলিম এক হুজুর বললেন এদের মাদ্রাসায় তিনি আটটি ফ্যান দিয়েছে কমিটির মাধ্যমে এমন অনেক এতিমখানায় তার জন্য দোয়া করা হয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলের জায়গা দখল মুক্ত ঘোষণার পরপরই ই-কোম্পানী বিডি-র মাধ্যমে ফিরিয়ে দিচ্ছেন এলাকার ক্ষমতাশালী মানুষের কাছে দখল থাকা জায়গা । এলাকার একটি খাদক চক্র ছিলো যাদের নাম এখানে প্রকাশ করা হলো না, তাদের বিরুদ্ধে দিনরাত দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি এমনকি যা আইনিভাবে ও ফেরানো সম্ভব হয়নি তা একটি ফোনের মাধ্যমেই নাকি যথেষ্ট । ইতিমধ্যে রায়ের বাজার, নিমতলা, টালি অফিস রোড, মিতালী রোড, জরিনা শিকদার রোড ঘুরে, বেশ কিছু মন্দির ঘুরে দেখলাম হঠাৎ রানা ফুড এর পাশের শিব মন্দিরে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের নিজস্ব সম্পত্তি দখল করে নিয়েছিলেন এলাকার একটি চক্র, সেই জায়গা ফিরিয়ে দেয়া বিষয়ে শিব মন্দিরের পুরোহিত মশায়, শ্রী নারায়ন চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন হাঁ কিছু জায়গা দীর্ঘদিন কমিশনার সহ আরো অনেকে মিলে শুনছি দখলে রেখেছিলেন, যা গত বুধবার মা দুর্গা ফিরিয়ে দিয়েছেন কার মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন কে ফিরিয়ে দিয়েছেন তা তো আর সে বলতে পারবেনা আপনারা পূজা কমিটির কাছে যান আমরা পূজা কমিটির সভাপতি- শ্রী রমেশ চন্দ্র লালার কাছে জায়গা ফিরে পাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হিন্দুদের পাল গোষ্ঠীর এই সব নিজস্ব সম্পত্তি এই সম্পত্তির বুকে আমাদের এই শিব মন্দির মন্দির, এ মন্দির দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু চাপিয়ে চাপিয়ে প্রায় ধ্বংসের মুখে নিয়ে গিয়েছিলেন একটি চক্র যার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগের নেতা, এবং এলাকার দুই মুখী সাপ টাইপের কিছু মানুষ মিলে ভোগ দখল করে খেয়েছেন ১৪ টি বছর, গত ৫ তারিখের পর আওয়ামী লীগের দালালেরা চলে গেলেও এখন পর্যন্ত এলাকার সেই খারাপ মানুষের অল্পসংখ্যক দ্বারা দখলকৃত জায়গাটুকু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় কোথা থেকে তাদের টেলিফোনে না চিঠিতে না ভিডিওতে আমি জানিনা, হ্যাঁ একটা অর্ডার তো এসেছেন, আমি বলতে পারবো না, সকালে ওরা মানুষ পাঠিয়ে চাবি বুঝাইয়া দিয়া গেছেন, যা সত্য দাদা।