সাদা পাঞ্জাবি পরে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বাংলাদেশের অন্তরবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার উখিয়া, কক্সবাজার পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি একটি শিক্ষা কেন্দ্রে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ক্যাম্প ১৮-এ রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ক্যাম্প ১৮-এ রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন, যেখানে তিনি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সহনশীলতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়াও, তিনি ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও উদ্বেগ মনোযোগ দিয়ে শোনেন। পরে, তিনি ক্যাম্প ১৮-এ সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন এবং তার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
যেখানে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন,
"বাংলাদেশের কক্সবাজার বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরের আবাসস্থল।
আর্থিক সহায়তার ঘোষিত কাটছাঁট আমাদেরকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং এখানে তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশি সম্প্রদায়গুলোর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের একটি সামান্য অংশের সাথেই কাজ করতে বাধ্য করবে।
মানুষ কষ্ট পাবে। মানুষ মারা যাবে।
এটি একটি সম্পূর্ণ বিপর্যয় হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হলো এগিয়ে আসা এবং এই বিপর্যয় এড়ানো।"
উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি সংহতি প্রকাশের লক্ষ্যে তাঁরা ‘রমজান সংহতি ইফতার’-এ অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এবং আরো বলেন “আগামী বছর যেন আপনাদের মাতৃভূমি আরাকানে ঈদ করতে পারেন তার জন্য কাজ এই সরকার”। এই কথা শুনে রোহিঙ্গাদের মনে স্বস্থির সন্ঞার করছে বলে মনে করেন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নেতারা। রোহিঙ্গা নেতা ও সাধারণ মানুষ মনে করছেন বিগত ৬ বছরে এমন শান্তির বানী তারা শুনেনি। এই প্রথম আশার বানী শুনে রোহিঙ্গাদের জনমনে শান্তি বিরাজ করছে। তারা মনে করছে মাতৃভূমিতে ফেরত যেতে পারবে।
— আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের মহাসচিব, ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস কক্সবাজার, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের রমজান সংহতি সফরকালে এসব কথা বলেন।