চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের খাল শুকিয়ে হাজারো কৃষকের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের খাল শুকিয়ে হাজারো কৃষকের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির অভাবে খাল, মাঠ শুখিয়ে ফেটে নষ্ট হচ্ছে ধান ক্ষেত। ফলে হতাশায় দিন কাটছে কৃষকদের। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃষকরা দ্রুত পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান দীর্ঘদিন ধরে খালে পানি না থাকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকবে।এই খালটি সঠিকভাবে খনন করা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা। 

এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গ্রুপটি ইউনিয়নের আস্টা গ্রামে। সরেজমিনে গেলে স্থানীয় কৃষক আবু তাহের বেপারী, মোঃ জমির হোসেন, খোরশেদ আলম, মিজান পাটোয়ারী, শাহীন পাটোয়ারী সহ আরও অনেকে জানান আস্টা গ্রামে ধান ক্ষেত করার জন্য পানি আসার একমাত্র খালটি বর্তমানে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এই এলাকার ধানক্ষেতের একেবারেই করুন অবস্থা। ধান গাছ থেকে ধান বের হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। কিন্তু খালে পানি না থাকার কারণে আস্টা এলাকার ধান ক্ষেতগুলোতে পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকদের অভিযোগ গত কয়েক বছর আগে আস্টা এলাকার K21A নং খাল যাহা এলাকার রমুর খাল থেকে  কামতা অভিমুখী এই খালটি খনন করতে জৈনক কন্টাকটার এক্সকেলেটার (বেকু) নিয়ে এসেছিলেন। এবং খাল খনন করতে গিয়ে (বেকুটি) নষ্ট হয়ে গেলে খাল খনন না করেই তারা চলে যান। খালটি খনন না করার কারণেই বর্তমানে কৃষকদের বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার কৃষকদের দাবি কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে  ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ খালটি খনন করতে এগিয়ে আসবেন বলে তাদের বিশ্বাস।  

এলাকার সুদি মহলের মধ্যে আব্দুল মান্নার বলেন, আস্টা বাজার হইতে উত্তর দিকে কালারবাড়ি পর্যন্ত K21A খালটি প্রায় এক কিলোমিটার। একটা সময় খালটি হাজারো মানুষের প্রাণ ছিলো। কিন্তু খনন না করার কারণে বর্তমানে এই খালটি এলাকার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই খালটি দিয়ে পানি আসা-যাওয়ায় মাধ্যমে মানুষের উপকার হওয়ার কথা থাকলেও এই খালটি দিয়ে বর্তমানে মানুষের অপকারই হচ্ছে বেশি। কারণ খালটি দীর্ঘদিন খনন না করার কারণে বর্ষার সিজনে অতিবৃষ্টির কারণে এই এলাকায় কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়। এবং মানুষের কোটি কোটি টাকার মৎস্য চাষের ক্ষতি হয়। আর বর্তমান সু-দিন সিজনে খালটি খনন না করার কারণে এলাকার বিভিন্ন ধান চাষী ও অন্যান্য চাষীরা ঠিকমত পানি না পাওয়ার কারণে প্রত্যেকেই বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। তাই খালটি পুনরায় খনন করে এলাকার মানুষের উপকারের স্বার্থে প্রশাসন এগিয়ে আসবেন বলে তিনি জানান। 

ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, k21A খালটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে আগামীতে খান খননের কর্মপরিকল্পনায় আমি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রথম ক্রমিকেই দিয়েছি। আমাদেরও বিশ্বাস খালটি খনন করা হলে ওই অঞ্চলের মানুষের উপকার হবে।