এবারের বর্ষবরণ উৎসব শুধু বাঙালির নয় বরং বাংলাদেশে বাস করা সব জাতি-গোষ্ঠীর বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
সোমবার, ১8 এপ্রিল(১ বৈশাখ,১8৩২) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে সকাল ৯টায়  বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় শরিক হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন-"ঐতিহাসিকভাবে একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে"। এক  প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এবারের শোভাযাত্রা কোনোভাবেই রাজনৈতিক নয়।তিনি আরো বলেন,আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মোটিফ ব্যবহার করেছি।কারণ,ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়,ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি।তিনি আরো বলেন,বর্ষবরণ শুধু বাঙালির নয়,বাংলাদেশে বাস করা ,বাঙালি-অবাঙালি সবার।এটা চাকমা,মারমা,মুরং,গারোসহ সবার উৎসব।এবার থেকে আমরা এই উৎসবকে জাতীয়ভাবে পালন করা শুরু করলাম।আরেক দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ষবরণ বাংলাদেশের আপামর জনতার মহামিলনমেলা হিসাবে বড় ঐক্যের প্লাটফর্ম। এখানে মুঘল থেকে সুলতানি আমল এবং বর্তমান আবহ সব উপস্থিত। গতানুগতিক সংকীর্ণ রাজনৈতিক মনোভাব এখানে নেই।
শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এখানে চাপিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।বরং আগেই চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সর্বপ্রথম যশোরে এটার নাম ছিলো বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। সেখান থেকে ঢাকায় আসার পর নাম হলো আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর চাপিয়ে দেয়া হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারুকলায় যে নামে চালু হয়েছিলো সে নামেই এটা শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন,নববর্ষ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য ও সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। আমরা হয়তো ২০ থেকে ৩০ বছর পরে থাকবো না কিন্তু আজকের দিনটি স্মরনীয় হয়ে থাকবে।কারণ,এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রাটি চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়ে টিএসসি ও দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলায় এসে শেষ হয়।শোভাযাত্রায় বিভিন্ন উপজাতি ও গোষ্ঠীসহ হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে।