রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে কম্পিউটার মার্কেট মাল্টিপ্লান সেন্টারের সামনে দুই ব্যবসায়ীর উপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা, সেই সপ্তাহেই ধানমন্ডি ৭/এ কেএফসি র অপর গলিতে নির্মাণাধীন দুটি ভবন থেকে চাঁদা দাবি করেন একটি চক্র সেই চক্রের সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে ৮ থেকে ১০ টি মোটরসাইকেলে তিনজন করে ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানায় এবং এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত সহ ফাঁকা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে চলে যায়।
ডা: সুলতানা জাহান এই মামলার অন্যতম আসামি "ই-কোম্পানী বিডির" চেয়ারম্যান- সানজিদুল হাসান ইমনের মা ডাঃ সুলতানা জাহান এর কাছে মামলাটির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে মোহাম্মদ সানজিদুল হাসান ইমন বর্তমানে দেশের বাহিরে আছেন তিনি দেশে না থাকা সত্ত্বেও একটি মহলের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে (পিচ্চি হেলাল) ও তার ভাই ওয়াহিদুল হাসান দিপু আমার ছেলেকে বানোয়াট ভিত্তিহীন রাজনৈতিক বর্ণিত উদ্দেশ্যমূলকভাবে সমাজের চোখে আবারো হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । হ্যাঁ আল্লাহ্ মালিক তিনি অবশ্যই আমার ছেলের নতুন স্বপ্নের বাস্তবায়নের অন্য কারো হস্তক্ষেপ রাখবেন না ইনশাআল্লাহ । আপনারা সাংবাদিক এই জাতির দর্পণ আপনাদের কে অনেকেই অনেক কিছু বলেন তাতে কি হয়েছে আপনার কি জাতির দর্পণ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আগামীতে আপনাদের মাধ্যমেই এই বাংলার মানুষের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হবে আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে মিথ্যে ।
নিউ মার্কেট ব্যবসায়ীদের বক্তব্য অনুযায়ী গত ৫ই আগস্টে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতনের পর মুক্তি পাওয়া দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, ইমন, পিচ্চি হেলাল সহ একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগই করা হয়নি একটি মামলা পর্যন্ত কিন্তু মানুষের কল্যাণেই ব্যাস্ত, যুব উন্নয়নে সর্বদা চেষ্টায় সু শিক্ষিত বর্তমানে বিদেশে থাকা ই-কোম্পানি বিডির চেয়ারম্যান জনাব সানজিদুল হাসান ইমন সহ একাধিক ব্যবসায়ীর নামে মামলার হয়। এ বিষয়ে নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা দাদা ব্যবসায়ী মানুষ, পিচ্চি হেলাল বাহিনীর ছেলেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় নিউ মার্কেট এলিফ্যান্ট রোড এলাকা বাদ দেননি দোকানে দোকানে দেয়া পানি ব্যবসা থেকে শুরু করে ময়লার টেন্ডার পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দাদা-ভাই আমাদের সংসার ছেলে-মেয়ে দোকান ভাড়া, দোকানের এডভান্স কর্মচারীর বেতন সহ ইনকাম থেকে খরচ অনেক বেশি যার ফলে মাসের শেষে বর্তমানে আপনি তো জানেন বাংলাদেশে লাভ গুনতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিটি ব্যবসায়ীর এমন সময় যদি আমাদের উপর মামলা হামলা আসতে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের একজন এমন অভিভাবক প্রয়োজনীয়তা রয়েছেন যিনি নিজ স্বার্থের উর্ধ্বে আমাদের দোকান মালিকদের স্বার্থ কে প্রাধান্য দেবেন, আমাদের থেকে আর প্রকাশ্যে অন্ধকারে বাতি বন্ধ করে চাঁদা দাবি করবেন না বরং আমাদের সুখে-দুখে সর্বসময় অন্তর থেকে পাশে থাকবেন । এইটুকু চেয়েও মামলা খেতে হয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ভাই সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে । পরে যদিও তাদের নাম কোর্টের মাধ্যমে তুলে নেয়া হয় আমরা এই মামলা হামলা হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে চাইছি ।
মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাল্টিপ্ল্যানের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘ভাই আমরা অনেক দিন ধরেই এ সমস্যায় ভুগছি’। সব কথা বললে এখানে ব্যবসা করতে পারবো না। মিডিয়ায় কথা বলেছি, এটা জানতে পারলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। বউ-বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ছাড়ার পরপরই পিচ্ছি হেলালের ক্ষমতায় একক প্রার্থী হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হয় দিপু। এরপর থেকে তার ছোট ভাই পিচ্ছি হেলাল আধিপত্য বিস্তার করে চলছে।
নিউমার্কেট থানা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, এক মাস আগে ওখানে একটি নির্বাচন হয়। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একটি বিরোধ তাদের মধ্যে আগে থেকেই ছিল। আমাদের ধারণা নির্বাচনের কারণে ওই ঘটনা ঘটতে পারে। অথবা অন্য কোনও কারণেও হতে পারে। এছাড়া আসামিদের না ধরা পর্যন্ত মূল বিষয়টা এখনই বলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করছি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মালটিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে অবস্থান করছিলেন কয়েকজন যুবক। সবার পরনে শীতের পোশাক ও মুখে মাস্ক ছিল। ওই যুবকরা হঠাৎ করেই রামদা ও চাপাতি বের করে একটি গাড়িতে হামলা চালায়। এছাড়া গাড়ির বাইরে থাকা আরেকজনকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে।
ব্যবসায়ীদের ধারণা, মার্কেটে আধিপত্য বিস্তার, দখল ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসেন উদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত কে যে কার লোক এটাই বোঝা মুশকিল হয়ে গেছে, কে বা কারা কী কারণে হামলা করেছে সেটির মুল জায়গায় আসামি সবাই ধরা পড়লে জানা যাবে এখনও জানা যায়নি । বিষয়টির তদন্তের টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করবো ।