এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে বিশেষ পরামর্শ দেন জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ শেরপুর এর সভাপতি রিফাত খান। ৯ই এপ্রিল বুধবার বিকেলে জেলা শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ শেরপুর এর প্রধান কার্যালয় থেকে এ পরামর্শ দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ভুল লেখার চেয়ে না লেখাই উত্তম পরীক্ষার এই সময়টাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করে। তবে এ সময় শান্ত থাকাটা বেশি জরুরি। এবার পরীক্ষা হচ্ছে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ের। আর একদিন পরেই তোমাদের বসতে হবে পরীক্ষার টেবিলে। তাই এখন সময় ধরে ও পরিকল্পনামাফিক এগুতে হবে।

কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। রাস্তার জ্যাম হতে পারে। তাই হাতে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হবে। প্রথম পরীক্ষার দিন এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে পৌছানোর চেষ্টা করবে। কেননা কেন্দ্রে কোন রুমে সিট পড়েছে সেটা দেখতে অনেকটা সময় চলে যায়।

কেন্দ্রে প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে একদমই ভুলবে না। হাতের লেখা স্পষ্ট হলে পরীক্ষক সন্তুষ্ট হবেন। এতে নম্বর ভালো পাওয়া যায়। উত্তরপত্রে একদমই কাটাকাটি করবে না। লেখা ভুল হলে এক দাগ দিয়ে কেটে দেবে। বানানের দিকে নজর রাখবে। নির্দেশিত সব প্রশ্নের উত্তর করবে। উত্তর লেখার পূর্বে প্রশ্ন বা উদ্দীপক ভালোভাবে পড়ে বুঝে নেবে। সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর নির্ভুল হওয়া চাই। প্রয়োগমূলক ও উচ্চতর দক্ষতামূলক

প্রশ্নে ধাপ মেনে উত্তর লিখবে। বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার আগে সময় থাকলে বাসায় ডেমো পরীক্ষা দিতে পারো। বহু নির্বাচনী অংশেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে উত্তর দিতে হবে।

OMR শিট ঠাণ্ডা মাথায় পূরণ করবে। এর পরও যদি ভুল হয়ে যায়, ভয় পাবে না। কাঁটাছেড়া, ঘষামাজা করবে না। তুমি তোমার কক্ষ পরিদর্শককে জানাবে। তিনি তোমাকে সুন্দর সমাধান দেবেন।

সময় ভাগ করে প্রশ্নের উত্তর লিখবে। ১০ মিনিট আগে লেখা শেষ করে খাতা রিভিশন দেবে। মনে রাখবে বেশি লেখার চেয়ে সঠিক লেখাটা জরুরি। কোনো তথ্য ভুল লেখার চেয়ে না লেখাই উত্তম।

পরীক্ষার সময় চাপমুক্ত থাকা জরুরি। মনে রাখবে, আত্মবিশ্বাস রেখেই পরীক্ষা দিতে হবে। 'তুমি পারবে'-এটা সব সময় মাথায় রাখবে।

গরমের সময়টায় পরীক্ষা হচ্ছে। তাই খাবারদাবার ও শারীরিক সুস্থতার দিকে নজর রাখবে। এ সময় একদমই রাত জাগা যাবে না। মনে রাখবে, তিন ঘণ্টার একেকটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছ। সামান্য ভুলে যেন আশা ভঙ্গ না হয়ে যায়।