কক্সবাজারে ৫১ একর বনভূমি দখল উচ্ছেদ ও বাঁকখালী নদী দখল উচ্ছেদ করার দাবিতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার। বুধবার (১৬/৪/২০২৫) সকালে এগারোটায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক জনাব সালাহ উদ্দিন এর মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন বাপা কক্সবাজারের সভাপতি সাংবাদিক এইচএম এরশাদ ও সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম এর নেতৃত্বে পরিবেশ আন্দোলনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এই সময় বাপার সভাপতি সাংবাদিক এইচএম এরশাদ জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন যে আবাসিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ৫১ একর বনভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করা হয়েছে এবং দখল উচ্ছেদ করে দ্রুত বন বিভাগের জায়গা বন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনাও রয়েছে কিন্তু অদৃশ্য কারণে অবৈধ দখল উচ্ছেদ বন্ধ রয়েছে।
বাপার সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে শহরের পেশকার পাড়ার উত্তর অংশে বাঁকখালী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে, পরিবেশ কর্মীদের প্রতিবাদে সাড়া দিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা ইউএনও স্থান পরিদর্শন করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে দেন কিন্তু মিডিয়াতে দেওয়া বক্তব্য দখলদারদের পক্ষে হওয়ায় দখলদারেরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । তাই দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসককে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন বাপার প্রতিনিধিবৃন্দ।
একই সময় এডিসির কার্যালয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিনের সাথে দেখা করেন বাপার প্রতিনিধিবৃন্দ। ইউএনওকে অবহিত করেন যে দখলদারেরা এখনও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক মিডিয়াতে দেওয়া বক্তব্য নদী সুরক্ষা বিরুদ্ধ হওয়ায় বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়।এর প্রেক্ষিতে ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন বলেন দখলদারদের কাজ বন্ধ করার জন্য তহসিলদারের নেতৃত্বে লোক পাঠানো হয়, আর বক্তব্যের ব্যাপারে মিডিয়ার মিস ট্রায়াল বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি আন্তরিক ভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আইনী প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা ইয়াসমিন।
উল্লেখ্য, এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের প্রতিনিধি এনামুল হক, আমান উল্লাহ, মোঃ কামরুল হাসান, মোহাম্মদ ম্যাক্স, শিরু, মুহামিনুল তামিম সহ অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ।