কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন কটিয়াদীসহ ১৮৬টি গ্রামে অসহনীয় লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড দাবদাহ আর ১২-১৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ফলে নাকাল এলাকাবাসী। দিনের বেলায় তো আছেই, সন্ধ্যা হলেই এলাকাজুড়ে নেমে আসে নিস্তব্ধ অন্ধকার। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যসহ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রচণ্ড দাবদাহে স্বাভাবিক সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। উপজেলার কটিয়াদী জোনের আওতায় কটিয়াদী, নিকলী, অষ্টগ্রাম এবং আংশিক কিশোরগঞ্জ, বাজিতপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
গত মার্চ মাসের ২৫ তারিখ হতে লোডশেডিং হচ্ছে গড়ে ১২ ঘণ্টারও বেশি। লোডশেডিং শেষে বিদ্যুৎ আসলেও আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যায়। কিছুটা যেন এই আছে এই নাই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে! ফলে গ্রাহকদের ফ্রিজ,টিভিসহ নানা প্রকার অসংখ্য ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হচ্ছে। বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদেরকেও বেকার জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অনেক গ্রহকের অভিযোগ দালাল ছাড়া কোনো নতুন বিদ্যুৎ লাইন পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ সরবরাহেও রয়েছে বৈষম্য।বিদ্যুৎতের এই অসহনীয় যন্ত্রণা এড়াতে সামর্থ্যবান অনেকেই জেনারেটর বা আইপিএস ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছেন। যারা জেনারেটর সংযোগ বা আইপিএস ক্রয়ের সামর্থ্য নেই তারা এক দুর্বিষহ যন্ত্রণায় ছটফট করছেন।
জানা যায়,উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং সহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এর সাথে কথা বলেছে বিদ্যুৎ অফিস। বৈঠক সূত্র জানায়, এসময় কটিয়াদী উপজেলার জন্য বিদ্যুৎ বরাদ্দ বাড়ানো ব্যাপারে সাংসদের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য মানুষের কষ্ট হচ্ছে। বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরা হবে। কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, 'আমাদের ১৩-১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন কিন্তু পাচ্ছি ৫ মেগাওয়াট। ফলে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
খরতাপ বৃদ্ধির ফলে ব্যাবহার বেড়েছে। উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সমস্যা কমবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কিশোগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার, ডিজিএম (কারিগরী) মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, ডিজিএম (কটিয়াদী জোনাল অফিস) মোঃ সোহরাব হোসেন, এজিএম (প্রশাসন) মোঃ ওয়ালিউর রহমান,এজিএম (ওএন্ডএম) মোঃ আশিকুর রহমান,এজিএম (আইটি) মোঃ সাঈদ আনোয়ার ।