এ ঘটনায় বুধবার সকালে শালা মাকছুদুর রহমান কমলনগর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাকছুদুর রহমান বলেন, ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সাথে প্রায় ৪২ বছর আগে আমার বড় বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান জাহাঙ্গীরকে আমাদের জমি জমা দেখা শুনার দায়িত্ব দেন। ওই থেকে সে আমার বাবার সাথে প্রতারণা করে কিছু জমি নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এর পর আমার বড় ভাইয়ের শ্বশুর মোহাম্মদ, চরকাদিরা ইউনিয়নের সফিক উল্লাহ বাংলা নেতা এ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অব:) আবদুল মান্নানের সাথে আঁতাত করে তখনকার সময়ে চরকাদিরা ইউনিয়নে আমার বাবার সকল জমি রেকর্ড করে নেওয়ার পায়তারা করে জাহাঙ্গীর। কিন্তু আমার বাবা বুঝতে পারলে তখন ব্যর্থ হয় সে। এর পর জাহাঙ্গীর আলম কৌশলে আমার বাবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে জাল দলিলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৮ একর ৭৩ শতাংশ জমি দখল করে নেয়।
তিনি বলেন, আমার বাবার মৃত্যুর পর আমরা জায়গা জমির হিসাব চাইলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাদের জমির কোন দলিল পত্র দেয়না। পরে দলিলসহ সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করলে তার এ সব অনিয়মের হিসাব দেখতে পাই।
তার অপকর্মের বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বললে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগটি নিয়ে থানায় একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাবার সকল জমি পরিমাপের সিদ্ধান্ত হয়। পরে পারিবারিক একটি বৈঠকে জমির সকল কাগজপত্র নিয়ে বসলে ওখানেও জাহাঙ্গীর আরো ৯ একর ৫৪ শতাংশ জমি কাগজ পত্রের গড়মিল দেখায়। সেই থেকে আমাদের কোন কোন জায়গায় সম্পত্তি আছে আমি জানার চেষ্টা করছি। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এখন আবার আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
মাকছুদ আরো বলেন, আমার বাবা হাজী হাছানুজ্জামান আমাদের ঘরের কাজের লোককে ২৪ শতাংশ জমি দান করেছে। ওই জমিও জাহাঙ্গীর নিজের নামে রেকর্ড করে নেয়। এ জাহাঙ্গীরের জালিয়াতির হাত থেকে আমার খালা ও মামারাও বাঁচতে পারেনি। মামা আবদুল হাকিমকে ২০০৩ সালে মৃত দেখিয়ে ২ একর ৪০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আমার মামা মারা যায় ২০২২ সালে।
আমি প্রশাসনের কাছে ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলমের সকল অপকর্মের বিচার চাই। এ দিকে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম দাবি করছেন সে কোথায় কোথায় জমি দখল নিয়েছে সেগুলোর প্রমাণপত্র উপস্থাপনের জন্য। আবার সে আমার জমিতে গিয়ে বর্গাচাষিকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে, এজন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।