তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি নাসরিন বেগম(৪৬),পিতা -মৃত আব্দুল জলিল (আ:মোতালিব) স্বামী -দেলোয়ার হোসেন(চুন্নু) মাতা :মৃত ফজর বানু,সাং, হাইধন খালী,ইউপি গুজাদিয়া,থানা :করিমগঞ্জ,জেলা:কিশোরগঞ্জ।আমি স্বপরিবারে ঢাকায় থাকি।অদ্য থানায় আসিয়া এই মর্মে বিবাদী ১.মাসুদ রানা(৩৫),২.মো:সাদেক (৪০),৩.মো.হেলাল (৬২),সর্ব সাং হাইধনখালী, ইউপি গুজাদিয়া, থানা:করিমগঞ্জ,জেলা :কিশোরগঞ্জসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে,বিবাদীগণ আমার চাচাতো ভাই ও ভাতিজা হয় এবং খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক।বিবাদীদের সঙ্গে আমার জায়গা জমির বিষয়াদি নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে।নিম্ন তফসিল বণির্ত জায়গা আমি পৈতিক ও রেজি:দলিল মূলে প্রাপ্ত হইয়া মালিক দখলদার।করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া মৌজার খতিয়ান নং এস এ ২৪৩,বিএস ১৪৮৮ এর দাগ নং এস এ ৫২৮০ ও বিএস ৭৫৪৩ থেকে সাফ কাওলা মূলে ০৬ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন আমার পিতা।আমি গ্রামের বাড়িতে না থাকার সুযোগে বিবাদীগণ আমার নিম্ন তফসিল বণির্ত পৈতিক আমার এ জায়গা দখল করার উদ্দেশে আমার জায়গাতে থাকা ০৩ টি আমগাছ,০১টি রঙ্গিগাছ কাটিয়া ক্ষতি সাধন করে।এই সময় আমি সংবাদ পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া বাঁধা দেই।আমি বাধা দেওয়ার কারণে বিবাদীগণ আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করিয়া মারপিট করিতে উদ্যত হইলে আমার ডাক চিৎকার শুনিয়া আশপাশের স্বাক্ষীগণ আগাইয়া গিয়া বিবাদীদেরকে ফিরাইয়া আমাকে প্রাণ রক্ষা করে।পরে উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ সাক্ষীগণের সামনে আমাকে খুন জখমের হুমকি দিলে আমি চলিয়া আসি।উক্ত ঘটনার সাক্ষী ১. মো. রনি,পিতা:মৃত আবুল খায়ের, সাং গুজাদিয়া রামনগর,২.মো:জাহাঙ্গীর, পিতা মো.শামসুদ্দিন মেম্বার,সাং আশুতিয়াপাড়া(১ নং ওয়ার্ড) করিমগঞ্জ পৌরসভা,উভয় করিমগঞ্জ থানা,জেলা :কিশোরগঞ্জসহ আরো লোকজন দেখে ও জানে।ঘটনার পর আমার লোকদের সঙ্গে পরার্মশ করিয়া পরে বিষয়টি এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিদেরকে জানাইয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হয়।উক্ত স্থানে মারাত্মক শান্তি ভংগের আশংকা বিদ্যমান।অভিযোগে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগী নাসরিন বেগম জানান, প্রতিপক্ষরা তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় জমির আসে পাশে আসতে পারবে না বলে হুমকি দেয়।। তিনি জানান, গাছ নিতে বাধা দেওয়ায় মাসুদ রানা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও ভয়ভিতী দেখিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। নাসরিন বেগমের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে জবরদখলের উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক নিজের নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় মাসুদ রানা।
ভুক্তভোগী নাসরিন বেগম আরো জানান, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের তার কথিত প্রেমিকাকে ঘরের টিন কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা হয়। ঘটনার পরে অভিযুক্ত মাসুদ গাজীপুরের মালেকের বাড়ী এলাকায় পালিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রলীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় ছিলো দীর্ঘ ৮ বছর। ততকালীন সময়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার অবৈধ ব্যবসার সহযোগী ছিলো মাসুদ রানা। বিগত ৮ বছর যাবৎ ফার্মগেট, ইন্দিরা রোড এলাকায় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে নির্দ্বিধায় ব্যবসা করে এসেছে। ৫ আগষ্টের পর থেকে রূপ বদল করে নিজেকে এখন বিএনপির কর্মী হিসেবে দাবি করছে। ভুক্তভোগী নাসরিন বেগম বর্তমানে অভিযুক্তদের ভয়ে আতংকিত এবং ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি অভিযুক্ত মাসুদসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক দাবি করেন। তার বিরোদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে বলেন, গাছ আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির, আমি আমার জায়গা থেকে গাছ কেটেছি। একই জায়গার সাথে আমার বায়না সূত্রে ক্রয় করা সম্পত্তিতে আমি সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।