এ মূর্হতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জরুরিভাবে পদক্ষেপ না নিলে করোনা ভাইরাসের মতো ডেঙ্গুও মহামারি রূপ নিতে পারে এমন অভিমত চিকিৎসকদের। উপজেলা স্বাস্থ্যা বিভাগ জানায়, জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে আসা চলতি বছরে জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত পুরো উপজেলায় ২২৮ জন রোগীর মধ্য ১১২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্য গত জুনে ৬৫ এবং গত পাচঁদিনে শুধু ৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে। যা মোট রোগীর ৪৯.১২ শতাংশ। অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। গত পাচঁ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ জন। যা এর আগের মাসে ছিল শুধু ১৪।
চিকিৎসকরা বলছেন, দুটি রোগের জন্যই মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে যাতে পারে। তবে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রথম দেখা দেয় ১৯৬৪ সালে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের হার ছিল খুব কম। এরপর ২০০২-০৩ সালে এবং ২০১৭ সালে পুনরায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগ দেখা দেয়। সরেজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ করে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় টেকনাফ উপজেলা করোনা-ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে থেকে মানুষের মাঝে সচেতনতা করতে পৌরসভার মোড়ে মোড়ে মাস্কসহ প্রচারবিলি করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কায়সার খসরু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল ও মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান, পিআইও সুবীর কুমার দত্ত প্রমুখ।
বুধবার টেকনাফের মৌচনির এলাকার বাসিন্দা মো. রফিক তিন বছরের ছেলে মো.রহিমকে নিয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু কর্ণারে ভর্তি হন। মো. রফিক জানান, ‘হঠাৎ করে ছেরের জ্বর, কাশি দেখা যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষার পর ডেঙ্গু পাওয়া যায়। এখানে অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্তে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে, বাড়ি ফিরছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৭ সালে দুই হাজার ৭৬৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। পরের বছর সেই সংখ্যা প্রায় চারগুণ বেড়ে ১০ হাজার ১৪৮ জনে দাঁড়ায়। আর এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেই সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জনে। এর মধ্যে ১৭৯ জন প্রাণ হারান।