কলাপাড়ায় আধিপত্য বিস্তার ও পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সার্ভিস জেটি ঘাটে লোড-আনলোডের কাজে শ্রমিক সরবারহের বিরোধকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “মিথাত” ট্রেডার্সের অফিস স্থাপনায় সন্ত্রাসী হামলা, তাণ্ডব, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে
মংগলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে দুই শতাধিক লোক এ হামলায় অন্তত পৌনে এক ঘণ্টার তাণ্ডব, ভাঙচুরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপ শাহিন মৃধার ওই অফিসে দিনে দুপুরে আগুন দেয় এবং এ সময় সন্ত্রাসী হামলায় স্থানীয় যুবদল সদস্য দোলন মৃধা (৩৫), গাড়ির চালক রানা, মিরাজ নামের তিনজন আহত হয়েছে। এদেরকে কোপানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রাইভেট কারসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। পুড়ে গেছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত একাধিক কক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে তার বড় ভাই মো.কবির মৃধা দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে কবির মৃধা বলেন, শাহীন মৃধার কাজ- বাজ নিয়ে একটি মহল প্রতিহিংসার কারনে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি জানান, হামলাকারীরা সবাই চিহ্নিত একটা দলের লোক। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস কলাপাড়ার সদস্যরা আগুন বেলা একটার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সদ্য চালু হওয়া পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে আছেন।
তিনি আরো বলেন’ শাহীন মৃধার অফিস ঘরটি অবৈধ জায়গায় বলে কতিপয় মানুষ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের ভালো করে জানা উচিৎ এটি আমারই দলিলকৃত জায়গা। যেখানে তার ছোট ভাই শাহীন মৃধা আমার অনুমতি সাপেক্ষে অফিস ঘর তুলেছে। তাতে কারোর কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। তবে যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তারা শাহীন মৃধাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জুয়েল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ঘটনাস্থল পাওয়ার প্ল্যান্টের জেটিতে পুলিশ অবস্থান করছে। এর পাশেই সন্ত্রাসীরা হামলা, তাণ্ডব, নাশকতা চালায়। বর্তমানে আগুন নেভানোর পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন মামলা কিংবা অভিযোগ পাইনি।