ঝালকাঠির কাঠালিয়ার ১নং চেঁচরীতে জামায়েত নেতা রেজাউল জোমাদ্দার কর্তৃক হয়রানী ও মারধরের শিকার হয়েছে উত্তর চেচরি গ্রামের মৃত্য আ: লতিফ খানের এর মেয়ে কাজল রেখা ও তার বোনেরা, এই ঘটনায় কাজল রেখা বাদী হয়ে কাঠালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৭ তারিখ ২১/০৪/২৫ইং রেখা বলেন রেজাউল বর্তমানে জামাতের ভুয়া পরিচয় দেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রেজাউল আওয়ামী লীগের কর্মী। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে, চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুন আর রশিদ জোমাদ্দারের চাচাতো ভাই রেজাউল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকা কালিন এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রী করতেন। বর্তমানে ভোল পাল্টে জামায়াতের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

কাজল রেখা জানান, ১৮-এপ্রিল-২৫ আমাদের জমিতে ঘর তুলতে এসেছি আমি ও আমার বোনেরা, তখন রেজাউল সন্ত্রাসীদের নিয়ে মারধর শুরু করে। হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বোন মার্জিনার মাথায় কোপ দেয়, অহত মার্জিনাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, রেজাউল সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমি দখল করে নেয়। ঘর ভেঙ্গে বাড়িতে নিয়ে গেছে রেজাউল ।

কাজল রেখার বোন সাবিনা জানান, ১৮ এপ্রিল আমাদের জমিতে আমরা ঘর তুলতে গেছি, রেজাউল সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের মেরেছে আমার বোন মর্জিনার মাথায় কোপ মেরেছে, আমরা ভান্ডারিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রোগীর অবস্থা উন্নতি না হওয়ার কারণে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি , সেই সুযোগে রেজাউল আমাদের জমি দখল করেছেন। আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখায় আমাকে এসিড দিয়ে জ্বলসে দেবার হুমকি দেয় রেজাউল। মেসেজে হুমকি দিয়ে বলে আমাদেরকে সান্তিতে বাঁচতে দেবেনা। মর্জিনাকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে বাড়িতে আসার পথে সিকদার হাট বাজারে সন্ত্রাসীদের আমাদের উপর হামলা করেছে রেজাউল এতে আমার পা ভেংগে গেছে। কাজল রেখা আরো জানান, বর্তমানে রেজাউলের চাচা সাইদুল হক ব্লেট দিয়ে মাথা চিরে আমুয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, জামায়েতের লোকজন সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য তদবির চালাচ্ছেন।

স্থানীয় একাদিক সুত্রে জানাযায় , ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন আর রশিদ জমাদ্দারের চাচাতো ভাই রেজাউল। রেজাউল একজন আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ কর্মী, আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়ায় থেকে বিগত ১৬ বছর অনেক অপকর্ম চালিয়েছেন। তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে চাকরি করেন, বর্তমানে তিনি জামায়তে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল জমাদ্দার জানান, আমি তাদেরকে মারিনি আমাকে হয়রানি করার জন্য তারা মামলা করেছে, মারামারির ঘটনা শুনে আমি এসে মারামারি থামিয়েছি।