আগুনের লেলিহান শীখা ও বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পাশের মাহবুব উল্লাহ, মহিউদ্দিনের ঘরসহ মোট তিনটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘর থেকে বের হয়ে আসার সময় মহিউদ্দীনের স্ত্রী রাখি আকতার আহত হয়।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনটি বসতঘর পুড়ে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। এছাড়া রাখি আকতার নামে একজনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর ধূরুং ১ নম্বর ওয়ার্ড কায়ছার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টায় নেজাম উদ্দীন এর ঘর থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শীখা ও বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসে। কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে পাশের মাহবুব উল্লাহ, মহিউদ্দিনের ঘরসহ মোট তিনটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘর থেকে বের হয়ে আসার সময় মহিউদ্দীনের স্ত্রী রাখি আকতার আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।

খবর পেয়ে কুতুবদিয়া ফায়ার স্টেশনের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আগুনে তিনটি ঘরে থাকা মূল্যবান নগদ টাকা, মালামাল পুড়ে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো সফিউল আলম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চুলা থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবি করলেও ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে পরিদর্শন করেন,কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জিয়াউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর প্রমূখ। এসময় জরুরী সহায়তা হিসেব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চিকিৎসা খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।