এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের রুমমেট মো. নাহিদকে (১৮) গ্রেফতার করেছে। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম (২৬) রংপুরের বদরগঞ্জ থানার আলা মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতার নাহিদ(১৮) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- মঞ্জুরুল স্থানীয় আক্তারের ফার্মে এবং নাহিদ বিভিন্ন স্থানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুইজন উপজেলার দুর্গাপুরের নোয়াপাড়া এলাকায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন।
গত কয়েকদিন আগে মঞ্জুরুলের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারিয়ে যায়। এ টাকা নাহিদ নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে নাহিদের মা-বাবাসহ বিভিন্ন জনের কাছে বিচার দেওয়া হয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুলের মাথায় দা দিয়ে ছয়টি কোপ দিয়ে মেরে ফেলে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে ফার্মের পাশের একটি ডোবায় ফেলা দেয়। বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান বলেন, ঘটনার শুরু কয়েকদিন আগে।
গতকাল বিকালে আমাদের কাছে জিডি নিয়ে আসেন নিহত মঞ্জুরুলের ভাই। পরে আমরা তার রুমমেটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনি। তার কথায় সন্দেহ হলে আমরা তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিস্তারিত বলে। সে জানায়, চোর বলাতেই তাকে হত্যা করেছে। পরে লাশ মাটিচাপা দিয়েছে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মঞ্জুরুলের লাশ উদ্ধার করি।