কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের ওয়াটিং রুম যেন শৌচাগার, মিললো বাথরুমের হাই কমোডকুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের যাত্রী বিশ্রামাগার (ওয়েটিং রুম) যেন পরিণত হয়েছে শৌচাগারে

কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের ওয়াটিং রুম যেন শৌচাগার, মিললো বাথরুমের হাই কমোডকুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের যাত্রী বিশ্রামাগার (ওয়েটিং রুম) যেন পরিণত হয়েছে শৌচাগারে! মঙ্গলবার (২৫ জুন) সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, স্টেশনের প্রধান ওয়েটিং রুমে যাত্রীদের বসার স্থানে রাখা আছে ব্যবহৃত একটি হাই কমোড। এতে রেলস্টেশন ব্যবস্থাপনার চরম অব্যবস্থাপনা ও অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।


স্থানীয় যাত্রী ও পথচারীদের ভাষ্যমতে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন, প্রতিদিন হাজারো যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে চলাচল করে। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বিশ্রামাগারে একটি শৌচাগারের হাই কমোড রাখা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

কুলাউড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা বলেন, “ওয়েটিং রুম মানেই যাত্রীর বিশ্রামের জায়গা। অথচ এখানে ঢুকেই দেখা যায়, একটি ব্যবহৃত কমোড পড়ে আছে মাঝখানে। এটা চরম অপমানজনক ও অস্বাস্থ্যকর। এমন পরিবেশে কেউ বসে থাকবেই বা কীভাবে?”

স্থানীয় আরও একজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনের ওয়েটিং রুমের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নেই। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় কখনো এটি গুদামঘর, কখনোবা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়।
তবে এ ধরনের ঘটনাকে শুধুই অবহেলা বলে না মানছেন যাত্রীরা। তাদের দাবি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে যাত্রীসেবার মান ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে এমন সংবেদনশীল স্থানে এ ধরনের হাই কমোড রাখা রীতিমতো যাত্রীদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন।

উল্লেখ্য, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেশন। এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন যাত্রাবিরতি করে। ফলে ওয়েটিং রুমের পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।