কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক পুশইনের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে বিজিবিসহ স্থানীয় জনতা। শুক্রবার রাতে বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকআপ ভ্যানে ৫০ থেকে ৬০জন নাগরিককে পুশইনের চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলকগঞ্জ থানার বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকাপ ভ্যানে ৫০/৬০জন নাগরীককে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের ফাইসকারকুটি গ্রামের একটি স্কুলে পুশইন করার জন্য জড়ো করে। পরে সীমান্ত গ্রামটির সব লাইট বন্ধ করে পুশইন করার চেষ্টা করে বিএসএফ। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে শতশত জনতা সীমান্তে অবস্থান নিয়ে পাহারা বসায়। এসময় কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি’র কচাকাটা ও কেদার ক্যাম্পের সদস্য ও আনসার ভিডিপি’র কয়েকটি টিম সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেয়। তাদের সাথে কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তের শতশত জনতা প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানবদেয়াল তৈরি করে। উল্টোদিকে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরাও কাটাতারের অপরদিকে অবস্থান নেয়। পরে রাত ২টার দিকে নোম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান নেয় ভারতীয় বিএসএফ। এসময় বিএসএফ সদস্যরা কয়েক দফা বিজিবির সাথে কথা বলতে চেষ্টা করলে বিজিবি তা প্রত্যাক্ষাণ করে। পরে রাত ৩টার দিকে শূণ্য রেখা থেকে সরে যায় বিএসএফ।

কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি'র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ অবৈধভাবে কাউকে পুশইন করতে না পারে সেজন্য বিজিবি, আনসার সদস্যসহ সীমান্তবাসি যৌথভাবে পাহারা দিচ্ছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।