কুয়াকাটায় খাল দখল করে ময়লার ট্যাংক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধসহ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কুয়াকাটা পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেলাপাড়ার মহুরি বাড়ি এলাকায় এ দখল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন দখলের কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পৌরবাসীর। 

জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের  বাসিন্দা সেলিম মুন্সির (খাবার ঘর হোটেলের মালিক)বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবাহমান খালের উপরে বিশালাকৃতির একটি ট্যাংকি নির্মাণ করেছে ও খাল ভরাট করেছে। ওই ময়লার ট্যাংকি নির্মাণ করতে গিয়ে খালের অনেকটা অংশ ভরাট হয়ে গেছে। কুয়াকাটা মহা সড়কে  কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে কুয়াকাটা পৌর এলাকায় ময়লা পানি, বৃষ্টিতে জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত খালের দুই দিক দিয়ে দখলে নিচ্ছে সুবিধাভোগীরা। এতে খালটি সরু হতে হতে বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। তদারকির অভাবে খালের কুয়াকাটা মাছ বাজার, পৌরসভা কার্যালয় থেকে কচ্ছপখালী পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। ময়লা পানি জমে থাকায় বেড়েছে মশার উৎপত্তি ও দূর্গন্ধ।  কচ্ছপখালী থেকে পশ্চিম দিকে পেতে রাখা হয়েছে  মাছ ধরার জাল।

এ বিষয় দখলদার সেলিম মুন্সিকে পাওয়া যায়নি তার মুঠো ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। তার স্ত্রী বাড়িতে থাকলেও সাংবাদিকদের সাথে সে কথা বলবে না বলে জানান। সে আরও জানান এ বিষয় যদি আপনাদের কিছু করার থাকে করেন আমার কোন মন্তব্য নেই।

এ এলাকার বাসিন্দা সেলিম সরদার জানান, দখল দূষণের কারণে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে তা ভরাটের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিন দিন যেভাবে খাল ভরাট ও দখল হয়ে আসছে তাতে আগামীতে খালের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। পানি ও ময়লা জমে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা তৈরী হবে। 

মহিপুর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আ.ন.ম. মুরাদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।  
 আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিমাপ করে বিষয়টি দেখে পরে  বিস্তারিত জানাবো। তিনি আরও বলেন আমি বিষয়টি এসিল্যান্ডকে ও জানাবো।

কলাপাড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক, ইয়াছিন সাদিক জানান, এভাবে খাল দখল ও ভরাট করা বেআইনি। এ বিষয় খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিবো।