জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী এ.বি.এম. রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে কুয়াকাটায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মোঃ ওসমান গনির পক্ষে তার ভাইয়ের ছেলে শাহিন শেখ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্য বলেন, নিম্ন তফসিল বর্ণিত জে.এল ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার এসএ ১২৯৩ নং খতিয়ানের ৫১৮৫ বাটা ৫৪৭৬ নং দাগের অংশ হইতে মং ০.২৮.৫০ একর জমি সাব কবলা খরিদ মূলে আমি ওসমান গনি ও আমার ছোট ভাই মোঃ ছোবাহান শেখ, দোজাহান শেখ ও নুর ইসলাম শেখ মালিক নিযুক্ত থাকি। একই দাগ খতিয়ানে আমাদের আরেক ভাই শাহ আলম শেখ'র চার শতাংশ জমি রয়েছে। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার আমাদের ভাই শাহ আলম শেখ'র চার শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তখন জমি আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু তফসিল বর্ণিত জমির উপর তাহার কু নজর পরে। পরবর্তীতে তিনি আমাদের জমিও ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আমরা জমি বিক্রয় করিতে অসম্মতি জানাই। যে কারণে রুহুল আমিন হাওলাদার আওয়ামী স্বৈরশাসকমলে বিনা ভোটে পটুয়াখালী ০১, সদর আসনের সাংসদ থাকিয়া ক্ষমতার দাপট দেখায়া আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী ওসমান গণিসহ আমার অপর তিন ভাই এর তফসিল বর্নিত মং ০.২৮.৫০ একর, সম্পত্তির মধ্যে থেকে ০.২৩.৫০ একর জমি অবৈধভাবে জবর দখলে নিয়া যায়৷ আমরা শতবার চেষ্টা করিলেও আমাদের জমি উদ্ধার করতে পারিনাই৷ আমরা আমাদের জমি উদ্ধারের চেষ্টা করিলে বিবাদী তাহার ক্ষমতার দাপট দেখাই আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করিয়েছে। অভিযোগ করে আরো বলেন, আমাদেরকে ও আমাদের পরিবারকে চিরতরে শেষ করিয়া পালাইবার ষড়যন্ত্র করিয়া একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়া জেল হাজত খাটাইয়াছন। অবশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তাহার কোন খবর পাওয়া যাইতেছে না। জমি উদ্ধারে আমাদের দেওয়ানী মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে।