কৃষিবিদদের অধিকার ও ন্যায্যতার প্রশ্নে সোচ্চার অবস্থান নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) “কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ”-এর ব্যানারে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন

কৃষিবিদদের অধিকার ও ন্যায্যতার প্রশ্নে সোচ্চার অবস্থান নিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) “কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ”-এর ব্যানারে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির পর দুপুর ১২টায় আয়োজক পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত আট দফা দাবির বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, উক্ত দাবিগুলোর মধ্যে কিছু দাবি এমন রয়েছে যা কৃষিবিদদের স্বার্থের পরিপন্থী এবং কৃষিশিক্ষার কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এসব প্রসঙ্গে তারা স্পষ্ট করেন যে, যৌক্তিক দাবি থাকলে তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য, তবে কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য আসিক আহম্মেদ, শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাইম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ, সদস্য সচিব আল রাকিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মানববন্ধনে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ যে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে, তা হলো:

১. পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কার্যক্রমে প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়মাবলি অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। কোনোভাবেই এই নিয়ম শিথিল করা যাবে না।

২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না। ১০ম গ্রেডের পদের নিয়োগ অবশ্যই পূর্বঘোষিত কাঠামো অনুযায়ী গেজেটের বাইরে রাখতে হবে।

৩. ১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/সমমান) চাকরির ক্ষেত্রে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

৪. কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি ব্যতীত কেউ নিজের নামের সাথে "কৃষিবিদ" পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৫. কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা ও কারিগরি শিক্ষা কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহ (যেমন: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর আওতাধীন রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের এই মানববন্ধন থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—কৃষিশিক্ষার মান, মর্যাদা ও পেশাগত সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে তারা সবসময় রাজপথে থাকতে প্রস্তুত। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।