পৌর পরিদর্শক শাহীন খান জানান, গত ২৯ আগস্ট রাতে ডেঙ্গু মশক নিধন এবং ড্রেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারকি করছিলাম।

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পৌরসভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) শাহীন খানকে লাঞ্ছিত ও মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে দুটি মামলা দায়ের হয়। এর আগে ২৯ আগস্ট রাত ১১টার দিকে কেন্দুয়া বাজারের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু মশক নিধন এবং ড্রেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারকির সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পৌর পরিদর্শক শাহীন খান জানান, গত ২৯ আগস্ট রাতে ডেঙ্গু মশক নিধন এবং ড্রেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারকি করছিলাম। এসময় আঠারবাড়ি গ্রামের শাহজাহান তালুকদারের ছেলে রিয়াদ হোসেন তালুকদার দোলন গং এসে আমাকে অহেতুক গালাগাল ও মারধর করেন এবং পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূঞাকে হত্যার হুমকিসহ অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন।

মেয়রের পরিবারের লোকদের নামেও গালাগালসহ নানা হুমকি দেন। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানায় মামলা করা হয়েছে। তাই অপরাধীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আমরা পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারীরা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূঞা বলেন, সরকারি নির্দেশনায় ডেঙ্গু মশা নিধনকল্পে ড্রেন পরিষ্কার কার্যক্রমে নিয়োজিত পৌর কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে গালাগাল ও লাঞ্ছিত করা এবং হত্যার হুমকি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমি এর নিন্দা জানাই।

এদিকে পৌরসভার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) শাহীন খানকে লাঞ্ছিত ও মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকাল হতে কেন্দুয়া পৌরসভার সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক শফিউল আলম বলেন, অভিযুক্ত রিয়াদ হোসেন দোলন ও তার চাচাত ভাই লিটন মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও সরকারি কাজে বাধা এবং লাঞ্ছিতের ঘটনায় বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে ২টি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।