ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আলোচিত একটি হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড় নিয়েছে। স্বামী হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বাদী স্ত্রী আসমা বেগমকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আলোচিত একটি হত্যাকাণ্ডে নতুন মোড় নিয়েছে। স্বামী হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বাদী স্ত্রী আসমা বেগমকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আসমা বেগমের সাথে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও তিনজনকে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—আসমা বেগম (৩০), তার পরকীয়া প্রেমিক মো. রাকিবুল ইসলাম (২২), এবং রাকিবুলের দুই সহযোগী মো. জিহাদ (২০) ও মো. শামীম (২১)।আজ দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাজাহার সুমনের কার্যালয়ে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।পুলিশ জানায়, আসমা বেগমের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বগুড়ার শেরপুর থানার রাকিবুলের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী আলী মোল্লার সাথে একাধিকবার ঝগড়ায় জড়ায় আসমা। দেড় বছর ধরে চলা এই পরকীয়া সম্পর্ক থেকে মুক্ত হতে আলী মোল্লাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসমা ও রাকিবুল।গত ৬ নভেম্বর আসমা পরিকল্পনা অনুযায়ী রাকিবুল ও তার সহযোগীদের ঢাকায় আসার জন্য বলে। রাতে রাকিবুল, জিহাদ এবং শামীম কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে আসে। এরপর আসমার স্বামী অটোচালক আলী মোল্লাকে একটি ফোনকলের মাধ্যমে হাসনাবাদ যাওয়ার কথা বলে ডেকে আনা হয়। আলী মোল্লা রাজেন্দ্রপুর পৌঁছালে, রাকিবুল ও তার দুই সহযোগী অটোতে উঠে তাকে নাজিরাবাগ চন্ডীতলায় নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়, যার ফলে আলী মোল্লা গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।এরপর রাকিবুল আসমাকে ফোন করে জানান যে তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিরাবাগ চন্ডীতলায় পড়ে আছেন। খবর পেয়ে আসমা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলী মোল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই আলী মোল্লার মৃত্যু হয়।আসমা বেগম এই ঘটনার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে যে আসমা নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। পরে আসমার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ বগুড়ার শেরপুর থেকে রাকিবুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।এই ঘটনায় পুলিশ আসমা বেগমসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।