আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে কেরানীগঞ্জে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
২৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বন্ধন মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম।সেখানে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ৮৬টি পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,❝ শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশের একটি সার্বজনীন উৎসব। এটি এদেশের মানুষ সকলে মিলে উদযাপন করে থাকে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই এই উৎসবে হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে উদযাপন করেছি।❞ তিনি আরও বলেন, ❝ ২৪ এর জুলাইয়ের আন্দোলন আমাদের নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। বৈষম্যহীন ভাবে সবার জন্য আইনের সমান ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। পুজা চলাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে নিয়ে যৌথ ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।❞
তিনি উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে পুজায় মদ পান, হাউজি, জুয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। যে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী গুজব থেকে সতর্ক থাকার বিষয়ে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্ভাবনা থাকলে সরাসরি ৯৯৯ বা পুজা উপলক্ষে গঠন করা বিশেষ সেলে কল করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।সভায় উপস্থিত কেরানীগঞ্জের ৮৬টি পুজামন্ডপের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ কেরানীগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর অতীতের স্মৃতিচারণ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সম্প্রীতি বজায় থাকার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন,❝ যুগ যুগ ধরে হিন্দু মুসলমান কেরানীগঞ্জে একসাথে সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছে। এখানে কখনোই সাম্প্রদায়িক দাংগা পরিলক্ষিত হয় নাই। এখানে কেউ সংখ্যা লঘু নয়, সবাই বাংলাদেশী হিসাবে সমান।❞অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুজা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নৃপেন বর্মন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ কেরানীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।