করোনা পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের মধ্যে বেড়েছে মাদক ও বাল্যবিয়ের হার। এ সমস্যা দূরীকরনে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে এবং যথাসময়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাদক ও বাল্য বিবাহ বিরোধী কর্মশালা শুরু হয়।

রোববার দুপুর বারটার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাবুডাইং গ্রামে এবং বিকেল চারটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ফিল্টিপাড়া গ্রামে কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিভিন্ন বয়সী মানুষেদের নিয়ে অনুষ্ঠিত মাদক ও বাল্যবিবাহ বিরোধী এক কর্মশালায় এসব অনুভতি উঠে এসেছে বক্তাদের মধ্য থাকে। (এনএজিআর) ন্যাশনাল এজেন্সি ফর গ্রীণ রেজুলেশন; সামার ইনস্টিটিউট অব লিংগুইস্টিকের (এসআইএল) এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় জেনারেশন নেক্সট গ্রুপ বাংলাদেশ কোল যুব উন্নয়ন সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অংশ নেয় দেড়শতাধিক বাবুডাইং কোল সম্প্রদায় ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা।

গ্রাম্য মোড়ল কার্তিক কোল টুডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাবুুডাইং আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, কোল নারী নেত্রী কোকিলা মার্ডি, ফুরকুনি মার্ডি, (এনএজিআর) ন্যাশনাল এজেন্সি ফর গ্রীণ রেজুলেশন এর প্রোগ্রাম অফিসার প্রদীপ হেমব্রম, এসআইএল রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের এরিয়া ম্যানেজার নিকোলাস মুর্মু, বাংলাদেশ কোল যুব উন্নয়ন সংগঠন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সহসভাপতি নির্মল কোল সরেন। কর্মশালায় বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে এ অঞ্চলে কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালিদের মধ্যে বাল্যবিয়ের হার বেড়েছে। কোলদের মধ্যে বেড়েছে মাদক (চুয়ানি) সেবনের হার। বাবা-মায়ের সম্মতি না থাকলেও অনেক কিশোর-কিশোরী বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করছে।

এতে পরিবারের সদস্যসহ গ্রাম্য মোড়লেরাও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। তাই কিশোর-কিশোরীদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি কোল পুরুষদের মধ্যে বেড়েছে অতিরিক্তহারে চুয়ানি সেবন। ফলে পরিবারের নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এসকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সকলকে সচেতন হতে হবে। সামাজিক নিয়ম-কানুনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। আইনের আশ্রয় নিতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এজন্য সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। প্রয়োজনে সময়মতো বাল্যবিবাহ ও মাদক রুখতে প্রশাসনকে জানাতে হবে।