জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত ১০০০ আসন বিশিষ্ট এটি বাংলাদেশের প্রথম গ্রীক স্থাপত্যের আদলে নির্মিত অ্যাম্ফিথিয়েটার। অ্যাম্ফিথিয়েটার এর নীচতলায় ২৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ আছে যেটি মূলত শিল্পিদের গ্রীনরুম হিসেবে ব্যবহ্নত হবে । বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে পর্যটন স্পটে অ্যাম্ফিথিয়েটার মাধ্যমে সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান মঞ্চায়নের এটিই প্রথম উদ্যোগ নি:সন্দেহে এ অঞ্জলের তথা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে এটি নতুন মাএা যোগ করবে । তাছাড়া সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য কোন স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন বাংলাদেশে প্রথম যা দেশের পর্যটন শিল্পে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে ।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ পরিচালক জনাব জিতেন চাকমা বলেন প্রতি শুক্র বার, শনিবার বিকেল ৩.৩০মিনিটে গীতি নৃত্য নাট্য রাধামন ধনপুদি শো করা হবে আলুটিলা পর্যটন অ্যাম্ফিথিয়েটারে। খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা অসংখ্য দেশি - বিদেশী পর্যটক এই অ্যাম্ফিথিয়েটার এর মঞ্চে পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য মন্ডিত সাংস্কৃতিক চর্চা উপভোগ করবে । বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সাথে সবার পরিচয় হবে। এই উদ্যোগের ফলে; ক) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা আর্থিক প্রণোদনা লাভ করবে।
ফলে তাদের মাঝে সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি পাবে। খ) সমতল থেকে আসা পর্যটক পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় ও নান্দনিক এই সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারবে । এর ফলে সমতল ও পাহাড়ের মধ্যে এক অদৃশ্য সেতুবন্ধন রচিত হবে । গ) পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের আকষর্ণ বৃদ্ধি পাবে এবং পর্যটনের বিকাশ হবে । খাগড়াছড়ির অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে , দরিদ্রতা হ্ধসঢ়;্রাস পাবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃজিত হবে। প্রথম দিনে শত শত পর্যটক অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এবং মুগ্ধ।