এ খালটি খনন হলে কৃষকের জমিতে সহজে সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষি জমিতে পানি দেয়াসহ নানাভাবে অপকৃত হবে। কিছু লোক সরকারি খাস জমি দখল করে রেখেছে, মুলত দখলকারীরাই কাজে বাধা প্রদান করছে।

স্থানীয় সরকারের খাল খনন প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গোছামারা খাল খনন কাজে দুষ্কৃতকারীদের বাধা দেয়ার অভিযোগে এনে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী লোকজন। খনন কাজে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গোছামারা স্টীল ব্রিজের ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়া, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব  হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খুরশিদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার হেলাল মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: শাহ আলম, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো: আলামিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গোছামারা সরকারি খাল খননের কাজটি পায় মুমিনুল হক সেলিম। ওই খাল খননের কাজটি এক সপ্তাহ আগে শুরু করার পর থেকে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়ের আলম দানিছ নিজে কাজের টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে কাজটি না পয়ওয়ায় বিএনপির ও কৃষকদের উস্কানি দিয়ে খনন কাজে বাধাগ্রস্থ করছে। এ খালটি খনন হলে কৃষকের জমিতে সহজে সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষি জমিতে পানি দেয়াসহ নানাভাবে অপকৃত হবে। কিছু লোক সরকারি খাস জমি দখল করে রেখেছে, মুলত দখলকারীরাই কাজে বাধা প্রদান করছে। 

সরকারি খাল খনন কাজ যেন কোন বাধা ছাড়া চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানান। উল্লেখ্য, সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স মুমিনুল হক এÐ হাসান কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোছামারা খাল খননের কাজটি পান। এক সপ্তাহ আগে ওই খালের খনন কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। এক্সকাভেটরের পরিবর্তে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় ফুঁসে উঠে স্থানীয় কৃষক ও বিভিন্ন গ্রামের লোকজন। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী লোকজন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও গ্রামবাসীর একাংশ ড্রেজারে মাটি কাটার পক্ষে রয়েছে এবং অপরপক্ষটি এক্সকাভেটরে মাটি কাটার পক্ষে থাকলেও ড্রেজারে মাটি কাটার বিপক্ষে অবস্থা করছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জোবায়ের আলম দানিছ বলেন, আমি খাল কাটার পক্ষে আছি। সিডিউলে ড্রেজারে মাটি কাটার কোন নিয়ম নেয়। ড্রেজারে বালু উত্তোলন করলে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এজন্য এলাকার কৃষক ও গ্রামবাসী সরকারের উপর মহলে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বন্ধের জন্য নোটিশ করছে। নোটিশের পরও ড্রেজারে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। আমিও জনগণের সাথে একমত সিডিউল মতো শুকনো মৌসুমে ভেকু দিয়ে এবং লেবার দিয়ে যেন খাল খনন করা হয়। ঠিকাদার মমিনুল হক সেলিম তিন টাকা ফুটে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কাছে বালু বিক্রি করছে এবং সিন্ডিকেটের লোকজন ৮টাকা ফুটে বালু বিক্রি করছে। এলাকার মানুষের দাবি ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার বিপক্ষে, তারা ভেকু দিয়ে মাটি কাটার পক্ষে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড্রেজারে মাটি কাটার পক্ষে থাকায় নোটিশের পরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা।